আমরা উন্নয়ন করি, আর বিএনপি মানুষ খুন করে: শেখ হাসিনা

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা উন্নয়ন করি। মানুষের কল্যাণ দেখি। আর বিএনপি মানুষ খুন করে, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাই হচ্ছে তাদের কাজ।

আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পোলো গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা গ্রেনেড-বোমা মারতে পারে। চট্টগ্রামেও তারা বারবার গ্রেনেড মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। লালদিঘির ময়দানে সমাবেশ করতে গেছি সেখানে তারা গুলি চালিয়েছে। শুধু এখানে না, সারা বাংলাদেশে ৬৩টি জেলায়, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছে এই বিএনপি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস তারা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা মানুষের শান্তি চায় না। ক্ষমতায় থেকে কী করেছে, দুহাতে লুটপাত। জনগণের অর্থ পাচার করেছে।

জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, ৪০ দিন পর্যন্ত আমরা শুনেছি, জিয়া কিছু তার পরিবারের জন্য রেখে যায়নি। একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া নাকি কিছুই রেখে যায়নি। আমার প্রশ্ন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে না আসতেই হাওয়া ভবন খুলে তার ছেলে যে চাঁদাবাজি, অর্থ সংগ্রহ এবং অর্থ পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, ওগুলো কোথায় থেকে এলো? ভাঙ্গা স্যুটকেস তো আর জাদুর বাক্স হয়ে যায়নি, প্রশ্ন রাখেন তিনি

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে।

তিনি বলেন, এই চট্টগ্রামে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আমরা তৈরি করে দেইনি। প্রত্যেকটা উপজেলায় সরকার কলেজ-স্কুল আমরা করে দিয়েছি; আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শিখবে। মানুষের মতো মানুষ হবে। তারা বিএনপি-জামায়াতের মতো খুনী, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা হবে না। তারা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

বিদেশ থেকে টাকা এসেছে এতিমের জন্য। সেই টাকা এতিমের হাতে আর যায়নি। সব নিজেরা পকেটস্থ করেছে। তার জন্য ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা হয়েছে আর সেই মামলায় ১০ বছরের সাজা হয়েছে। টাকা চুরি করেছে বলেই সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার (খালেদা জিয়া) ছেলে একটা তো মারা গেছে। যে অর্থ পাচার করেছিল, সিঙ্গাপুর থেকে কিছু অর্থ আমরা উদ্ধার করে আনতে পেরেছি। আরেকজন এখন লন্ডনে বসে আছে। ২০০৭ সালে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে আর কোনো দিন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছিল। এখন সেখানে রাজার হালে থাকে আর দেশের ভেতরে যত বোমাবাজি, খুন-খারাবি, নাশকতা পরিচালনা করে, বলেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A story of sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago