নাটোরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় ২ বিএনপি নেতা আহত

হামলায় গুরুতর আহত সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার দুপুরে এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন এবং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আকন্দ।

পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে আজ শনিবার মহানগরীর সব থানা ও সব উপজেলায় ২ ঘণ্টা যুগপৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

এর অংশ হিসেবে নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকার বিএনপি কার্যালয়ে আজ বিকেল ৩টা থেকে এই কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন দলের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপি কার্যালয়ের দিকে আসার সময় আলাইপুর নেসকো অফিসের সামনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আবুল হোসেনের ওপর হামলা চালান। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।

এই হামলার ঘটনায় তেবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আকন্দও আহত হন বলে জানান নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ।

এদিকে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, 'বিএনপি নেতাকর্মীরা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সে কারণে তারা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। এ জন্য তারা আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার রাজনীতি করতেই হামলার অভিযোগ করছে।'

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, 'আসলে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করেছে। বিএনপির ওপর হামলার কোনো প্রশ্নই আসে না।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago