‘ডোনাল্ড লুর কোনো অভিসন্ধি আছে কি না, সেটা বিএনপিই ভালো জানে’

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

তিনি বলেন, 'মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই আসবেন। সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। বিএনপি উদ্ভট চিন্তা করছে। ভাবছে আবার নিষেধাজ্ঞা দেবে। তারা তো এমন অনেক উদ্ভট চিন্তা করে প্রলাপ বকেছিল বারবার। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে বিএনপি।'

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন।'

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসা স্বাভাবিক হলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কথা বলে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে চাইনি। আমরা বিএনপির হাসিখুশি ভাব দেখলাম, হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে গেছে। সামনে তো কিছু নেই। এখন ডোনাল্ড লু এসে সামনে কিছু করার অভিসন্ধি আছে কি না, সেটা বিএনপিই ভালো জানে।'
 
তিনি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হবে। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যে চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সেটার ফলোআপ করার জন্যই আসছেন ডোনাল্ড লু। আমরা সেটাই মনে করি।'

'অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশকে চালাচ্ছে' বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কোন অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে তা ফখরুল ইসলামকে পরিষ্কার করে বলতে হবে। বিএনপি মহাসচিবের সংবাদ সম্মেলন মানে অসত্যকে সত্য বলে চালানোর সুনিপুণ কৌশল। অসত্য বলা বিএনপি নেতাদের মৌলিক চরিত্র।'

তিনি বলেন, 'সরকার পরিচালনা করছে জনগণের সরকার। অদৃশ্য শক্তি দ্বারা সরকার পরিচালনা বিএনপির চরিত্র। বিএনপির সময় হাওয়া ভবন থেকে সরকার পরিচালনা হতো। দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের অনুমোদন ছাড়া কিছু হতো না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবন থেকে হয়। অদৃশ্য শক্তির মানসিক ট্রমায় ভুগছে বিএনপি।'

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'নির্বাচনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া বিএনপি অংশ নিতে চায় না। ফখরুল সাহেব জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের সময় দেশের মানুষকে অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে হতো। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই নিশ্চিত করেননি বরং খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।'
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, '২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সরকার যথেষ্ট উন্নত করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই কমিউনিটি সেবা জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন।'

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago