নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা, আহত অন্তত ১২

শহরের কোর্ট রোড এলাকায় উপজেলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা। ছবি: স্টার

নরসিংদীতে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' গণমিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার কোর্ট রোড এলাকায় উপজেলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে নিহতদের প্রতি 'প্রার্থনা ও গণমিছিল' করে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। ছবি: স্টার

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তারা নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস এস কাইয়ুমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মহিলা লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে লাঠি ও হকিস্টিক দেখা যায়।

আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এস এম কাইয়ুম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মানববন্ধন না করে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক সেসময়ই নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকিব ভূইয়া, হাজিপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক বশির আহমেদসহ কয়েকশ ছাত্রলীগের নেতা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করে। 

এসময় অন্তত ১২ আন্দোলনকারী আহত হন এবং তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তবে, এ হামলার সময় পুলিশ হামলাকারীদের পেছনে অবস্থান নিয়ে ছিল।

হামলায় আহত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ইফতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করতে চাইলে উপজেলা মোড়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে, পুলিশি হয়রানির ভয়ে আমরা হাসপাতালে যেতে পারছি না।'

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল আহমেদ শাওনকে কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, 'তেমন কিছু হয়নি। ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আটক নেই। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago