চট্টগ্রাম

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাইবার ট্রাইবুন্যাল চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

অপপ্রচারের অভিযোগে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও তিনটি পোর্টালের নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার এম এ কাউসার।

আজ বৃহস্পতিবার কাউসার নিজে বাদী হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা হয়েছে। 

বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে—দেশইনফো২৪.কম-এর প্রকাশক ও সম্পাদক অতুল দাস, সহসম্পাদক সাইদুল আরেফিন, বার্তা সম্পাদক সাঈফ আজমল, প্রতিবেদক ফাইজুল আলম সিরাজ; অপরাজিত বাংলা২৪.কম-এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাইদুল ইসলাম সবুজ, সহসম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন ও বার্তা সম্পাদক তাজুল ইসলামকে। এ ছাড়া, ইউটিউব চ্যানেল 'হিউমিনিটি' ও পোর্টাল বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরকেও আসামি করা হয়েছে।

বাদির আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে কয়েকটি অনিবন্ধিত পোর্টালে সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ দৈনিক যুগান্তরে 'চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট: ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলের পাঁয়তারা' এবং ২ এপ্রিল 'ওসি-ডিসিকে নিয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গালাগাল' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর জেরে প্রতিবেদক এম এ কাউসারের ওপর ক্ষুব্ধ হন চসিক নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম ও তার ছোট ভাই রাশেদ হায়দার সোহেল।

অভিযোগে বলা হয়, এই সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩১ মার্চ 'হিউমিনিটি' নামে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন সংশ্লিষ্টরা। সেখানে সাংবাদিক কাউসারের ছবি ব্যবহার করে একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়। অডিওটি রাশেদ হায়দার সোহেল ও মিজানুর রহমান নামে দুজন ব্যক্তির কথোপকথনের হলেও প্রচারিত রেকর্ডে সেটি সাংবাদিক কাউসারের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, কাউসারের ফেসবুকে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচার এবং স্ত্রী-সন্তানের ছবি সংগ্রহ করে অপরাজিত বাংলা২৪.কম, দেশ ইনফো ২৪.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর.কম পোর্টালে মানহানিকর, মিথ্যা, বানোয়াট, আপত্তিকর ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়।

কাউসার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা প্রতিবেদনে কোনো ত্রুটি বের করতে না পেরে আমার ও আমার পরিবারকে নিয়ে কুরুচিমূলক নানা জিনিস অনলাইনে দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এ বিষয়ে আমি হালিশহর থানায় জিডি করেছি এবং বাধ্য হয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

9h ago