কোন দিকে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল-গাজা নীতি

গাজায় এই মুহূর্তে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উদ্যোগ। ফাইল ছবিছ রয়টার্স
বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উদ্যোগ। ফাইল ছবিছ রয়টার্স

গাজা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় এই মুহূর্তে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সোমবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলাচ্ছে

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জাতিসংঘে গাজা সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিয়েছে। বস্তুত, রাশিয়াও একবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ, যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তাই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এ ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, 'ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।'

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কার্বি বলেছেন, 'ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফা ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।' তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উদ্যোগ। ফাইল ছবিছ রয়টার্স
বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উদ্যোগ। ফাইল ছবিছ রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানি হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।

এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করা আরো সমস্যার হবে বলে মনে করেন তিনি। নেতানিয়াহুর কথায়, 'এর ফলে যুদ্ধবিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের উপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।'

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

 

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

22m ago