আফ্রিকা নিয়ে ‘কাড়াকাড়ি’

‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’ চর্যার এই পদ অনেকাংশে মিলে যায় বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী অথচ সবচেয়ে গরিব মহাদেশ আফ্রিকার ক্ষেত্রে।
আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি আফ্রিকার জনজীবনে বাড়তি চাপ ফেলেছে। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

'আপনা মাংসে হরিণা বৈরী' চর্যার এই পদ অনেকাংশে মিলে যায় বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী অথচ সবচেয়ে গরিব মহাদেশ আফ্রিকার ক্ষেত্রে।

প্রতিবেশী মহাদেশটি সম্পদে ভরপুর—তা জানার পর ইউরোপের নব্য-উপনিবেশিক শক্তি ১৮৮১ সালে চালু করেছিল 'আফ্রিকা নিয়ে কাড়াকাড়ি' বা 'স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা' নীতি।

প্রায় দেড় শ বছর পরও আফ্রিকায় 'সেই ট্র্যাডিশন' যেন সমান তালে চলছে। এ মহাদেশ নিয়ে আবারও 'ভাগাভাগি'র প্রতিযোগিতায় নেমেছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো। এই তালিকায় আছে—চীন, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
খাবারের সন্ধানে শিশু সন্তানকে নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে এক নারী। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

গত ১৫ ডিসেম্বর আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্মেলন করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় ৮ বছর পর এ ধরনের সম্মেলন আবার হলো। এর আগে কেনিয়া-বংশোদ্ভূত সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার দেশগুলোকে নিয়ে 'এক সঙ্গে চলার' নীতি ঘোষণা দিয়ে সম্মেলন করেছিলেন। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে।

সম্মেলন নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন যে, জি২০ জোটে আফ্রিকান ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করতে তার প্রশাসন সমর্থন দেবে। শুধু তাই নয়, দারিদ্রপীড়িত এই মহাদেশের সঙ্গে 'সম্পর্ক জোরদারে' যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আফ্রিকায় কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণাও দিয়েছেন।

আফ্রিকার ৫৪ দেশের মধ্যে ৪৯ দেশের নেতারা সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, 'আফ্রিকার ভবিষ্যৎ গঠনে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি নিয়োজিত'।

তিনি আরও বলেন, 'আফ্রিকার সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রেরও সাফল্য।'

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
আফ্রিকা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সম্মেলন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আফ্রিকা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এমন আগ্রহকে মার্কিনিদের 'মহানুভবতা' হিসেবে দেখার সুযোগ তেমন নেই। যদি তাই হতো তাহলে প্রথম সম্মেলনের পর ৮ বছর আফ্রিকাকে এ বিষয়ে 'অন্ধকারে' থাকতে হতো না।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাইডেনের এমন উচ্ছ্বাসের পেছনে ইতিহাস আছে। মূলত তা হলো—এই মহাদেশে 'শত্রু দেশগুলোর' প্রভাব কমানো।

এ কথা সবাই জানেন, আফ্রিকার প্রায় প্রতিটি দেশেই চীনের বিনিয়োগ আছে। চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারত সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলো নিয়ে কাজ করছে তুরস্ক।

এ সবের সঙ্গে আছে মহাদেশটিতে রাশিয়ার প্রভাব।

আফ্রিকায় রুশ প্রভাবের উজ্জ্বল নিদর্শন হলো—চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থান। ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ার সদস্য পদ স্থগিতের জন্য যে নমুনা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এর পক্ষে আফ্রিকার ৫৪ দেশের মধ্যে মাত্র ১০ দেশ ভোট দিয়েছিল। ৯ দেশ ভোট দেয় প্রস্তাবের বিপক্ষে। বাকি দেশগুলো ভোটদানে বিরত থাকে।

আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অংশীদার দক্ষিণ আফ্রিকাও ভোটে অংশ নেয়নি।

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
সোচিতে আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের চার ভাগের এক ভাগ আফ্রিকার। তাই পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে এই দেশগুলোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কথায় আছে—বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ইতিহাস বলে, বহু দশকের বঞ্চনার পর যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র 'প্রয়োজনের তাগিদে' আফ্রিকার দিকে হাত বাড়িয়েছে। অতি সাম্প্রতিক করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট ও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে তেমনভাবে পাশে পায়নি আফ্রিকা।

এমন পরিস্থিতিতে আফ্রিকার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ২০২০ সাল থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে ২০২১ সালে ২৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যদিও এই মহাদেশটিকে চীন নিজেদের 'পণ্যের বাজারে' পরিণত করেছে।

এ কথাও সত্য, আফ্রিকায় চীনের বিনিয়োগ যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। আল জাজিরার এক মতামত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ বছরে ঋণ, মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে আফ্রিকায় চীন এতোটাই প্রভাব সৃষ্টি করেছে যে তা মোকাবিলা এখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও কঠিন।

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ চীন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

চীন মূলত আফ্রিকায় বিনিয়োগ করেছে সেখানকার দেশগুলোর আর্থিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে। একটি দেশে গণতন্ত্র আছে কি নেই বা মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন—তা নিয়ে বেইজিং প্রশ্ন তোলেনি।

আফ্রিকার বিশ্লেষকদের মতে, মহাদেশটিতে চীন বিনিয়োগ করেছে 'ঢালাওভাবে'। সেখানকার গরিব মানুষের কাছে 'মুদ্রার রঙ লাল না নীল' তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান বা অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা।

চীন আফ্রিকার দেশগুলোয় সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেললাইন, ফ্লাইওভার ইত্যাদি তৈরি করে সেখানকার সাধারণ মানুষের মনে ইতিবাচক 'ইমেজ' তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এসবের সুদূর প্রসারী প্রভাব নিয়ে আলোচনা খুব একটা নেই।

আফ্রিকায় চীনের পাশাপাশি রাশিয়ার প্রভাবও প্রবল। গত এপ্রিলে টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'আফ্রিকায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারের ওপর বিশ্বের নজর রাখা প্রয়োজন'।

প্রতিবেদনে আফ্রিকার বিদ্রোহী-কবলিত দেশগুলোয় রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির প্রসঙ্গটি সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে।

আফ্রিকাকে নিয়ে রাশিয়া প্রথম সম্মেলন করেছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। অবকাশকেন্দ্র সোচিতে এই আয়োজনের স্লোগান ছিল—'শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন'।

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
আফ্রিকায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে কাজ করছে তুরস্ক। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

রাশিয়ার সামিট আফ্রিকা ওয়েবসাইটে বলা হয়, সেই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল—রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর 'বন্ধুত্বপূর্ণ' সম্পর্ক স্থাপন। এর পাশাপাশি, ২ অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছাও সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।

ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সে দিনের সেই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, 'আমরা আফ্রিকার সম্পদ ভাগ-বণ্টনের বৈঠক ডাকিনি। বরং, আফ্রিকাকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে (বৈশ্বিক) প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমরা অংশ নিতে চাচ্ছি।'

আফ্রিকা থেকে সম্পদ চুরির কুখ্যাতি আছে ইউরোপের সাবেক উপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলোর। তাদের অত্যাচারের ইতিহাস মহাদেশবাসীর মনে আজও দগদগে ঘায়ের মতো রয়ে গেছে। সার্বিক কারণে ইউরোপ প্রতিবেশী মহাদেশটিতে ক্রমশ প্রভাব হারালে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আফ্রিকার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের এই জোট। সেসময় আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত আফ্রিকার জনগণের স্বাস্থ্য-শিক্ষার পাশাপাশি সেখানকার স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখতে সহায়তার হাত বাড়াতে চায় ইউরোপ।

সেই লক্ষ্যে ইইউয়ের রাজধানী ব্রাসেলসে আয়োজন করা হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সম্মেলন। এতে যোগ দিয়েছিল মহাদেশটির ৪০ দেশের নেতারা।

প্রতিবেদন মতে, আফ্রিকায় চীন ও রাশিয়ার ক্রমাগত প্রভাব বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম ইউরোপের সমৃদ্ধ ও সাবেক সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর জোট 'অন্ধকার মহাদেশ'টিতে নিজেদের হারানো প্রতিপত্তি আবারো ফিরিয়ে আনতে চায়।

এতে আরও বলা হয়, আফ্রিকার জনগণের স্বাস্থ্য-শিক্ষার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইইউ সেখানে প্রায় ৩৪১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করতে যাচ্ছে।

তবে আফ্রিকায় চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আর্থ-রাজনৈতিক প্রভাব ও অতি সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যসেবায় পিছিয়ে থাকা মহাদেশটির অনেকে।

সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান শার্ল মিশেল বলেছেন, 'আমরা এখানে ব্যবসা করতে বসিনি।'

আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ
আফ্রিকাকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে কাজ করছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ও সেনেগালের রাষ্ট্রপতি ম্যাকি স্যালের মন্তব্য, এটি 'নতুন করে অংশীদারিত্ব শুরু'র প্রক্রিয়া।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা চ্যানথাম হাউসের আফ্রিকা বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স ভিনেস আল জাজিরাকে বলেছেন, 'ইউরোপের দেশগুলো সত্যিই (আফ্রিকার সঙ্গে) সম্পর্কের পরিবর্তন চায়।'

আফ্রিকা নিয়ে 'কাড়াকাড়ি' শেষ এখানেই নয়। গত বছর ১৭ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুলে আয়োজন করা হয়েছিল তৃতীয় 'তুরস্ক-আফ্রিকা সম্মেলন'। এতে যোগ দিয়েছিলেন মহাদেশটির ১৬ সরকার প্রধান, ১০২ মন্ত্রী এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) ও ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটসের (ইসিডব্লিউএএস) প্রতিনিধিরা।

প্রতিবেদন অনুসারে, আফ্রিকার সঙ্গে তুরস্কের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে এই সম্মেলনে বক্তারা সম্ভাবনার নানাদিক তুলে ধরেছিলেন।

আফ্রিকা নিয়ে পিছিয়ে নেই ভারত। প্রথম ভারত-আফ্রিকা ফোরাম সামিট নয়াদিল্লিতে আয়োজন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর একে একে ৩টি সম্মেলন হয়। গত ১৯ জুলাই ভারতের রাজধানীতে আফ্রিকার নেতাদের নিয়ে ২ দিনের বিনিয়োগ বৈঠক বসেছিল।

সেদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটারে বলেছিলেন, 'এই বৈঠকে ভারত ও আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিল আফ্রিকার ১৭ দেশের ৪০ মন্ত্রী।

প্রায় ১২১ কোটি মানুষের এই মহাদেশ যুগে যুগে সব শক্তিশালী দেশের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। একেক দেশ এখানে এসেছে একেক উদ্দেশ্য নিয়ে। উপনিবেশ-পরবর্তী তথা একবিংশ শতাব্দীর আফ্রিকায় সবাই 'বিনিয়োগ' ও 'অংশীদারিত্বমূলক বাণিজ্য'র কথা বললেও তাদের মূল উদ্দেশ্য যে সেখানে 'আধিপত্য' বিস্তার তা বলাই বাহুল্য।

বাস্তবতা হলো—সম্পদ-সমৃদ্ধ আফ্রিকাকে নিয়ে শক্তিধর দেশগুলোর 'কাড়াকাড়ি' চলছেই।

Comments

The Daily Star  | English

Why planting as many trees as possible may not be the solution to the climate crisis

The heatwave currently searing Bangladesh has led to renewed focus on reforestation efforts. On social media, calls to take up tree-planting drives, and even take on the challenge of creating a world record for planting trees are being peddled

2h ago