রোডসের দেখা সেরা অধিনায়ক সাকিব
বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুজন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে স্টিভ রোডসের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে কাজ করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গেও। তবে এদের মধ্যে তো বটেই তার দেখা সবচেয়ে তীক্ষ্ম ক্রিকেট বুদ্ধির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিবকে রোডস অবশ্য বেশি দিন পাননি। রোডসের জমানায় এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই টেস্ট আর দুই টি-টোয়েন্টিতেই অধিনায়কত্ব করতে পেরেছেন সাকিব। এরপর তো বাংলাদেশ খেলল এশিয়া কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। যেখানে আবার অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি মর্তুজা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার আগে রোডসের কাছে প্রশ্ন ছিল অল্প সময়ে তিন অধিনায়কের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা কেমন। উত্তরে তিনি চলে গেলেন ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণে। রোডসের চোখে কৌশলগত দিক বিবেচনায় তার সঙ্গে কাজ করা অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সাকিব, ‘এখন পর্যন্ত সাকিবকে আমি সবথেকে বেশি যোগ্য হিসেবে খুঁজে পেয়েছি কাজ করার ক্ষেত্রে। আমি এর আগেও অনেক অধিনায়কের সাথে কাজ করেছি। তবে সাকিব হলো সবথেকে সেরা ট্যাকটিক্যাল অধিনায়ক যার সাথে আমি কাজ করেছি। তার অসামান্য স্ট্রেন্থ রয়েছে।’
জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের মাপকাঠিতে বাংলাদেশে অবশ্য অধিনায়ক মাশরাফির আশেপাশে কেউ নেই। মাশরাফি যে কারণে এই জায়গায় সেটিও জানা রোডসের, মাশরাফির বিশেষত্ব যে আলাদা সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ম্যাশও দারুণ একজন মানুষ কাজ করার জন্য। সে সাকিবের থেকে ভিন্ন, সে প্যাশন এবং প্রাইডের জন্য খেলে। সাকিবও সেটি করে, তবে ম্যাশ সেটি প্রকাশ করতে পারে। সে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে এবং সে ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করে আনতে পারে। সে একজন একজন যোদ্ধা এবং দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সুতরাং আমি ম্যাশের সাথে কাজ করতে উপভোগ করছি। ’
সাকিব, মাশরাফির পর রোডসকে এবার কাজ করতে হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে। সাকিবের চোটের কারণেই যিনি টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে বাংলাদেশ কোচ, ‘আর রিয়াদ এখন নতুন অধিনায়ক হয়েছে। তার সম্পর্কে খুব বেশি বলতে না পারলেও শুরুর দিকে আমরা কয়েকটি সংক্ষিপ্ত মিটিং করেছিলাম দল নির্বাচনের ব্যাপারে। আশা করি নির্বাচকেরা সেগুলো দেখভাল করবে। আশা করি তাঁর (রিয়াদ) সাথে আরেকটি মিটিং করবো।'
Comments