যেন ফাইনালের আগে নির্বাচনী পরীক্ষা
ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে একপেশেভাবে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো সেরা দুজন তারকা ছিলেন না। তবু টের পাওয়া যায়নি কিছু। উলটো টপ অর্ডারে রান বন্যায় মধুর লড়াই জমিয়ে তুলেছেন তিনজন। টেস্টেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
জেতার বাইরে এই সিরিজ থেকে আসলে কি পাওয়ার আছে বাংলাদেশের? মাহমুদউল্লাহ এখানেই পরিষ্কার করলেন তাদের চিন্তাটা, ‘যদি বড় লক্ষ্যের কথা চিন্তা করি…সামনে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আছে ওটা আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও টেস্টে হয়েছিল বেহাল দশা। সেই ক্যারিবিয়ানরা এবার আসছে ফিরতি সফরে। শোধ তোলতে হাত পাকা করার চেষ্টাই যেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের এখানে অনেক সুযোগ আছে উন্নতি করার। সামনে ওদের বিপক্ষে আমাদের হোম কন্ডিশনে একটা সিরিজ আছে। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ এই দুই ম্যাচে।’
মাহমুদউল্লাহর কথায় মনে হতে পারে পুরো জিম্বাবুয়ে সিরিজটাই বুঝি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তুতি। বাস্তবে হয়ত তাই। কিন্তু ক্রিকেট অধিনায়কদের তো সব মুখে ফুটে বলতে নেই। খানিক পরই মনে পড়তেই অধিনায়ক ফিরে গেলেন ক্রিকেটীয় ভব্যতায়, ‘তারপরও জিম্বাবুয়ে খুবই ভালো দল। আপনি যদি ওয়ানডের তিনটা ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেন…আমরা অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওরাও ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা ওদের থেকে ভালো খেলে হোম সিরিজটা জিতেছি। তো ওই সুযোগটা যদি না দেই এবং আমাদের সুযোগ আছে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার। সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
উইকেট, কন্ডিশন, সাম্প্রতিক ফর্ম কোন কিছুতেই বাংলাদেশকে কঠিন লড়াইয়ে ফেলার মতো নয় জিম্বাবুয়ে। খেলাটা টেস্ট বলে সেই সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ। হ্যামিলটন মাসাকাদজাদের প্রত্যাশা করতে হবে বড় কোন ঝলকের। যদি ছন্দে ফেরেন ব্র্যান্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, শেন উইলিয়ামস । যদি কাইল জার্ভিস করে ফেলেন আগুনে কোন স্পেল। বলা যায় না তখন হয়ত জমতেও পারে লড়াই।
Comments