‘ফ্ল্যাট উইকেটে’ কেন এমন দশা?

Bangladesh Batting failure
বাংলাদেশকে ধসিয়ে জিম্বাবুয়ের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের খেলা শেষ। মাঠকর্মীরা ব্যস্ত মাঠ পরিচর্যায়। মাঠের চারপাশ ঘুরে রানিং করতে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে দেখে এক সাংবাদিকদের রসিকতা, দ্বিতীয় ইনিংসে নামবেন নাকি তিন নম্বরে? হাবিবুল জবাব দিলেন, 'নামলে এরচেয়ে ভালো করতাম'। এই রসিকতায়ও মিশে থাকল শ্লেষ। জিম্বাবুয়ের গড়পড়তা বোলারদের বিপক্ষে এমন নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতার আসলে কি ব্যাখ্যাই বা থাকতে পারে।

এই নিয়ে টানা সাত ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল দুশো রানের নিচে। তারমধ্যে মাত্র একবার পেরুতে পেরেছে দেড়শো। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতি টার্নিং উইকেট ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে হয়েছে পেস-বাউন্সে ভরা দূরুহ উইকেটে। কিন্তু এবার কি জবাব? সেটা জানার জন্য তো দলের কাউকে লাগবে। সংবাদ সম্মেলনে দলের হয়ে এলেন তাইজুল ইসলাম। বেচারা বোলার। সাড়ে তিন বছর পর পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সকালে। তার কাছে ব্যাটিং নিয়ে জানতে চাওয়ারও আসলে কিছু নেই।

তবু বোলার হলেও তো বোঝা যায় উইকেট ব্যাটিং বান্ধব, না বোলিং সহায়ক। তাইজুল এক কথায় পরিষ্কার করে দিয়েছেন তা। তার মতে দেড়শোর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার মতো তো নয়ই, উইকেট ছিল বরং ব্যাটিং সহায়কই, ‘উইকেট খুব কঠিন ছিল না। উইকেট কিছুটা মন্থর ছিল। আপনি এই উইকেটে ফ্ল্যাট উইকেট বলতে পারেন।’

তাইজুলকে হয়তো শিখিয়ে পড়িয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব পরিস্থিতিতে তার মতো ক্রিকেটারদের তেমন কিছু বলার থাকে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে করুণ দশার পর দলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল কিনা এই প্রশ্নেও ‘না’ বোধক। আবার জিম্বাবুয়েকে পেয়ে তবে অতি আত্মবিশ্বাস ছিলো কিনা, এই প্রশ্নেও ‘না’ বোধক জবাব দিয়েছেন তিনি।

সেইসঙ্গে কমন একটা উত্তর তো আছেই, ক্রিকেটে সব কিছুই হতে পারে। তাইজুলও এর বাইরে গেলেন না, ‘ক্রিকেটে এমন হয়, কিছু দিন আসে যেদিনটা আমাদের পক্ষে যাবে না। হয়তো আমাদের প্রথমে দুইটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এমন হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Israel stands down alert after Iran missile launch

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

21h ago