ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ বুধবার
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে সরকারের দ্বিতীয় সংলাপ আগামী বুধবার (৭ নভেম্বর) হতে যাচ্ছে। ওই দিন বেলা ১১টায় গণভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ড. কামাল হোসেন অসমাপ্ত সংলাপ শেষ করার কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠান। পরে রাতেই সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকের দিন ক্ষণ ঠিক করে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রথম দিনের সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির ব্যাপারে গণভবনে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোচনার পরও সেটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই দিন আপনি বলেছিলেন আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তাই অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আবারও সংলাপে বসতে আগ্রহী।
এক্ষেত্রে দাবিগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসরে আলোচনা আবশ্যক বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা সংলাপ হয়। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও ইভিএম ব্যবহার না করা, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ একগুচ্ছ দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সেদিন সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল বলেছিলেন, আলোচনায় সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান তারা পাননি।
আলোচনার কার্যকর কোনো ফলাফল পাওয়ার ব্যাপারে এরই মধ্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। শনিবার তিনি রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বলেছেন, সংলাপকে হাস্যকর করে তোলার জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে সরকার। সংলাপ নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে- এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলেও বক্তব্যে স্পষ্ট করেন মান্না।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ নভেম্বরের পর আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ থাকবে না। কারণ এর মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে।
Comments