তামিম ফিরবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দুই টেস্টের স্কোয়াড অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই চোটে থাকা তামিম ইকবাল সেখানে নেই। কিন্তু সিলেট টেস্টে দলের ভরাডুবির পর, সেরে উঠার অবস্থায় থাকা এই ব্যাটসম্যানের ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গুঞ্জন। তবে তামিম নিজেই জানালেন, এই সিরিজে আর সম্ভাবনা নেই, তিনি ফিরবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর। পুনর্বাসনের মধ্যে থাকা তামিম হালকা ব্যাটিং করলেও, পুরো সেরে উঠতে তার দরকার আরও সপ্তাহখানেক সময়। সেকারণেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফেরার সম্ভাবন দেখছেন না তিনি, ‘সম্ভাবনা খুব সামান্য (এই টেস্ট খেলার)। আমার মনে হয় না আমি পারব। সত্যি বলতে, আমি প্রস্তুতও নই। এছাড়া, ফিজিও অনুমতিও দেবেন না। এখন যেটা করছি, সেটাকে ‘সেমি ব্যাটিং’ বলতে পারেন। পুরোপুরি নেট সেশন যতক্ষণ করব না, ততক্ষণ পর দলের জন্য, আমার নিজের দিক থেকেও এই টেস্টের জন্য নিজেকে ফিট ঘোষণা করব না।’
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে ছিটকে যান তামিম। দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিকভাবে সম্পন্ন করে তবেই ফিরতে চান, ‘খেলব কিনা বললে এই মুহূর্তে আমার উত্তর, ‘না’। আজকে মাত্র তৃতীয় দিন নেট করেছি। এখনও পুরোপুরি নেট সেশন করিনি। স্পিন খেলা আর ১৩০-১৪০ কিমি গতির বল খেলা অনেক ভিন্ন ব্যাপার। আমি জানিনা ওটায় আমার হাত কিভাবে সাড়া দেবে। তবে এখনও পর্যন্ত, সবকিছুই ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। আশা করি আর তিন দিনের মধ্যেই পুরোপুরি নেট শুরু করতে পারব। তখন আরও ভালো বুঝতে পারব কোথায় আছি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর পরই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শুরু ২২ ডিসেম্বর। তার আগেই শতভাগ ফিট হওয়ার আশা তামিমের, ‘আমি মনে করি যে প্রথম টেস্টের আগে ফিট হয়ে উঠবো। সাধারণত একজন ক্রিকেটার ইনজুরি থেকে ফিরলে টেস্ট সিরিজের আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পছন্দ করে। আজ থেকে তিন-চার সপ্তাহ আগেও আমার লক্ষ্য ছিল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্ট খেলা। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আরও কঠিন হবে, তার আগে এই ম্যাচটা খেলতে পারলে ভালো হতো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বর থেকে দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। তামিম সে ম্যাচ খেলবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাপার হলো, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রস্তুতি ম্যাচের ওপর খুব বিশ্বাসী নই। আমি জানি নিজের প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হয়। এখনই বলছি না যে খেলব না। জানি না ১৬ তারিখে কি অবস্থায় থাকি। যদি ওই সময় মনে হয় যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা দরকার, তাহলে খেলব। যদি মনে হয়, নেটে ভালো করছি, মানসিকতা ঠিক আছে, তাহলে হয়তো খেলব না।’
Comments