ডাবল সেঞ্চুরির পর স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা ছুঁড়েছিলেন মুশফিক
ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেই মুশফিকুর রহিমের করা উদযাপন নজর কেড়েছে সবার। প্রথম দিন সেঞ্চুরির পর করেছেন ক্ষ্যাপাটে উল্লাস, এদিন ডাবল সেঞ্চুরি করার পর তাকে দেখা গেল ভালোবাসাময়। ব্যাট ফেলে দুহাত উঁচিয়ে ‘ভালোবাসা চিহ্ন’ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শূন্যে। দিনশেষে জানিয়েছেন ছুঁড়ে দেওয়া এই ভালোবাসা আসলে স্ত্রীর জান্নাতুল কেফায়াত মন্ডির প্রতি।
আগের দিনে অপরাজিত ১১১ রান নিয়ে নেমে মুশফিক আর আউটই হননি। টেস্টের দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিসময় আর সবচেয়ে বেশি বল খেলে করেছেন ২১৯ রান। এটাই টেস্টে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস।
একই ইনিংসে দুই মাইলফলকে দুই ধরনের উদযাপন কেন দিনশেষে ব্যাখ্যা করেছেন মুশফিকই, ‘মিরপুরের প্রথম সেঞ্চুরি, এটা মাথায় ছিল। আমি যখন আস্তে সত্তর, আশিতে গিয়ে ভাবি একটা সেঞ্চুরি করতে পারলে আমার জন্য ভালো। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের হোম গ্রাউন্ডে ভালো রেকর্ড থাকে, এখন পর্যন্ত আমার মিরপুরে একশ নাই। আমি খুব করে চাচ্ছিলাম যেন একশ হয়। আর আমরা এই সিরিজে পিছিয়ে আছি। সবকিছু মিলে এটার বহিঃপ্রকাশ।’
সে তো প্রথম একশোর গল্প। যাতে নিজের মাইলফলকের সঙ্গে আছে দলের পরিস্থিতির বিবেচনাও। পরের একশোর উদযাপনে কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাই ভেবেছেন মুশফিক, ‘আজকেরটা আগে থেকে প্ল্যান ছিল ওই জায়গায় যেতে পারলে আমার সহধর্মিনীকে উৎসর্গ করব। কারণ এটা আসলেই স্পেশাল। ওর অবদান অনেক বড়।’
স্বভাবে গম্বীর, নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা মুশফিক প্রায়ই মন ভার করে রাখতেন। স্ত্রী জান্নাতুলই তাকে দিচ্ছেন ফুরফুরে হওয়ার আমেজ, সেই সঙ্গে পুত্র সন্তান জন্মের পর তার অনেক কিছু জুড়েই পরিবার ‘আপনারা জানেন, আমি মন খারাপ করে থাকি বা এটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর এটা আমার অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। বাচ্চার পর তো আরও বেশি। আর আমার ফোনের ওয়াল্পেপারে ওর ছবি। একটু হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবকিছু মিলে আলহামদুলিল্লাহ।’
Comments