মিরাজ ফানি ক্যারেক্টার: মুশফিক

Mushfiqur Rahim & Mehidy Hasan Miraz
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুশফিক যখন ১৪৫ রানে ব্যাট করছিলেন উইকেটে তখন আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লম্বা সময় ব্যাটিং করে পিচের চরিত্র খুব ভালোই বুঝতে পারছিলেন মুশফিক। কিন্তু তখন কি না তাকেই উইকেট নিয়ে উল্টো পরামর্শ দিতে থাকলেন মিরাজ। এটা ছিল মিরাজের চরিত্রের একটা খণ্ড চিত্র। এমন অনেক মজাদার কাণ্ডই করে থাকেন এ তরুণ।

আর এসব কারণেই মিরাজের সঙ্গে যে কোন ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংটা বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এমনকি তাতে ব্যাটিংটাও আরও সহজ হয়ে যায়।  সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন মুশফিক,  ‘মিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং আমি সব সময় উপভোগ করি। ও প্রাণবন্ত এক জন সঙ্গী। মিরাজ ফানি ক্যারেক্টার। ওর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠে থাকা সব সময়ই উপভোগ্য। ও আমাকে যেভাবে বোঝাচ্ছিল মনে হচ্ছিল, ও দুইশ রানে ব্যাট করছে, আমি মাত্র ক্রিজে এসেছি। ওর সঙ্গ সব সময়ই উপভোগ্য।’

মিরাজের মজাদার কিছু কাণ্ড বর্ণনা করতে গিয়ে মুশফিক আরও বলেন, ‘ও কিন্তু সবই জানে। একটা দূরের বল খেললে বলে ‘‘ভাই আমি তো দূরের বল খেলে দিসি।’’ আমি বলি, তুই তো জানিস, তাও কেন খেলিস? ও খুব মজার ছেলে। ওর সাথে ব্যাটিং করতে আমার সব সময়ই মজা লাগে।’

মুশফিকের সঙ্গে মিরাজের জুটিটা সবসময়ই ভালো হয়। জুটিতে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে পেলেই যেন তেতে ওঠেন মিরাজ। টেস্টে দুটি ফিফটিই এসেছে মুশফিকের সঙ্গে। তাই এ বিষয়টি ভেবে আনন্দই পান মুশফিক, ‘আর একটা ব্যাপার ভালো লাগছে, টেস্টে ওর দুইটা ফিফটি, দুইবারই ওর সাথে আমি ক্রিজে ছিলাম। আর একটা ও মিস করেছে।’

এমনকি এদিন মিরাজের কারণেই নিজের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পেরেছিলেন বলেও মনে করেন মুশফিক, ‘গলে আমাদের প্রথম টেস্টে মনে হয় ৪৫ রান করেছিল। ওই ম্যাচে আমার একশ মিস হয় ওর কারণে। কারণ, ও আউট হয়ে যাওয়ার পর আমি আর কোনো পার্টনার পাইনি। আজকে ওকে বলছিলাম, আমার দুইশ হওয়া পর্যন্ত অন্তত তুই থাকিস।’

গলে সেদিন ৭৫ রানে তখন ব্যাট করছিলেন মুশফিক। মিরাজ ৪১ রানে অপরাজিত। কিন্তু হুট করেই থিসারা পেরেরা বল খেলতে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। সে ধাক্কা না সামলাতেই আউট হন তাসকিন আহমেদ। এরপর শেষ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আর ১০ রানের বেশি করতে পারেননি মুশফিক। তবে মিরাজ এদিন শেষ পর্যন্ত থাকতে পারায় ডাবল সেঞ্চুরি এমনকি দেশের ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। 

বয়স ভিত্তিক দল দিয়েই দেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয় মিরাজের। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলেও তার অভিষেকটা বিস্ময়কর। সবমিলিয়ে তাকে আগামী দিনের বড় তারকাই মনে করছেন মুশফিক, ‘আমি সব সময়ই বলি, ওর মাঝে অমিত সম্ভাবনা আছে। ওর মনোযোগ আর প্রত্যয় ওর সবচেয়ে বড় ব্যাপার। অনেক সময় হয়তো বাজে শটে আউট হয়ে যায় কিন্তু আজকে যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে ও আগামী দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English

Shammo murder: DMP chief pledges to end probe within a week

Says case to be sent to a special tribunal after investigation

9m ago