আরও উন্নতি চান মাহমুদউল্লাহ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আর ব্যক্তিগত অর্জনও অনন্য। মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরি, মুমিনুলের দেড়শ, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর আট বছর পর সেঞ্চুরি। সঙ্গে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের মায়াবী ঘূর্ণি। এতো কিছুর পরও উন্নতি করার মতো অনেক জায়গাই দেখছেন অধিনায়ক।
ট্রফি হাতে দুই অধিনায়ক। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আর ব্যক্তিগত অর্জনও অনন্য। মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরি, মুমিনুলের দেড়শ, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর আট বছর পর সেঞ্চুরি। সঙ্গে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের মায়াবী ঘূর্ণি। এতো কিছুর পরও উন্নতি করার মতো অনেক জায়গাই দেখছেন অধিনায়ক।

আর বলবেনই না কেন? স্বর্ণ সময় অনেক আগেই হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অনেক দিন থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধুঁকছে দলটি। সিলেটে তাদের জয়টি আসে পাঁচ বছর পর। বিদেশের মাটিতে ১৮ বছর পর। সেই দলের সঙ্গে জয়টা সহজ হয়নি। টপ অর্ডার এ টেস্টেও ভেঙে পড়েছে। টাইগার বোলারদের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাট করে জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ব্রান্ডন টেইলর। স্পিনাররা ভালো করলেও প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ পেসাররা।

তবে ক্রিকেটে এসব বিষয়কে স্বাভাবিকই মনে করছেন অধিনায়ক। তবে তারপরও উন্নতি করার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে তাও জানান মাহমুদউল্লাহ, ‘ক্রিকেট খেলাটাই এমন, আপনি যদি একশো করেন কিংবা দুইশো পঞ্চাশ করেন তারপরও ব্যক্তিগত ভাবে মনে হবে আমার এই জায়গাতে কাজ করা দরকার। কারো যদি সুইং, স্পিন কিংবা সুইপ শটে দুর্বলতা থাকে সেখানে উন্নতি করার সুযোগ থাকে।’

‘ব্যাটসম্যানদের অনেকেই ভালো করেছে। সবাই একসঙ্গে ভালো করবে না। কখনো টপঅর্ডার রান করবে, কখনো মিডল অর্ডার রান করবে। যার যার পজিশন থেকে সবাই চেষ্টা করছে। সবাই অনুশীলন সেশনগুলোতে চেষ্টা করছে। কারণ আমাদের ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা দুঃচিন্তা ছিল। এই ম্যাচে রান করাতে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস আরও ভালো হবে। এই আত্মবিশ্বাস আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও কাজে দেবে।’ – যোগ করে আরও বলেন অধিনায়ক।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হলেও ফুরসৎ মিলছে না টাইগারদের। এর মধ্যেই ঢাকায় পা রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কিছু অংশ। বাকীরা আসছেন আজই। ২২ নভেম্বর থেকেই আবার মাঠের লড়াই শুরু। তাই এর আগেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

Comments