ওপেনিংয়ে নামবেন কোন দুজন?
চট্টগ্রাম টেস্টের ১৩ জনের দল দেওয়ার পর কারা ওপেন করছেন তা নিয়ে দ্বিধা ছিল না মোটেও। কারণ তখন স্কোয়াডেই ছিলেন দুজন মাত্র ওপেনার। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম দলে ঢোকার পর বেড়ে গেছে বিকল্প। চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ নির্ধারণে তাই এখন গাট ফিলিংয়ে সমাধান দেখছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ওয়ানডেতের ওপেনিং নিয়ে যে সমস্যা ছিল, টেস্টে সেই রোগ অনেক দিনের। দীর্ঘ পরিসরেও তামিম ইকবালকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার লোকের বড় অভাব বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও নেই তামিম। তাই দেখতে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন ওপেনিং জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন লিটন দাস। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তামিম না থাকায় লিটনের সঙ্গী হন ইমরুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে আবার বাদ পড়েছেন লিটন। এক বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলা সৌম্য সরকারের সঙ্গে দলে এসেছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাদমান।
এদের মধ্য থেকে দুজনকে বেছে নিতে হবে বাংলাদেশকে। গত ২০ ইনিংস থেকে টেস্টে ফিফটির দেখা না পাওয়া ইমরুলকে ছেঁটে ফেলাটাই হতো সহজ সমাধান। তবে সাকিবের কথায় পরিষ্কার অভিজ্ঞতা আর ওয়ানডের ফর্ম এগিয়ে রাখছে এই ওপেনারকে, ‘দেখুন এখানে আমরা চেষ্টা করব যারা একটু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাদের সুযোগটাই যেন বেশি থাকে। আমি সবসময় বিশ্বাস করি টেস্টে একটু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে অনেক বেশ হেল্পফুল হয়। তারপরও আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি, যে আমরা কোন ধরনের কম্বিনেশনে যাব।
‘ইমরুল ওয়ানডে সিরিজে খুব ভালো খেলেছে, দুইটি টেস্ট ম্যাচে তেমন রান করেনি, ও ওয়ানডেতে ভালো ফর্মে ছিল, আমার মনে হয় ও সুযোগ পেলে ভালো করবে।’
ইমরুল অভিজ্ঞতা দিয়ে এগিয়ে থাকলেও বাকি দুজন সাম্প্রতিক ফর্মে আছেন তুঙ্গে। ছন্দ হারিয়ে অনেকদিন দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকা সৌম্য এখন সবখানেই পাচ্ছেন রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ফিরে দাপুটে সেঞ্চুরি করার পর জাতীয় লিগে গিয়ে করেছেন ৫ ম্যাচে ৪৭১ রান। সাদমান তো ৬৪৮ রান করে এবার জাতীয় লিগেরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুরুতে দলে না থাকলেও অনুশীলন ম্যাচে কোচ-নির্বাচকদের সামনে চার ঘণ্টা ব্যাট করে ৭৩ রান করে নজর কাড়েন সাদমান। টেস্ট অভিষেকের দাবিদার তিনিও, অধিনায়কও নিলেন দুজনের নাম, ‘সাদমান প্র্যাকটিস ম্যাচে খুব ভালো করে এসেছে। সৌম্য কামব্যাক করেছে ভালোভাবে। তিনজনেরই খুব ভালো সুযোগ আছে।’
অধিনায়কের মত দুজনকে বেছে নিতে চাই দল নির্বাচনে একটু সাহসী হতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে, যারাই দল নির্বাচন করবে, আমি হই, কোচ হোক বা নির্বাচকরা, একটু গাট ফিলিংয়ের মধ্যেই সিলেক্ট করতে হবে। একটু গেস করতেই হবে কে পারটিকুলার টেস্ট ম্যাচে আমাদের হয়ে বেশি অবদান রাখতে পারবে।’
তবে সাকিবের প্রথম কথায় ফিরে গেলে একটি ছবিও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। অভিজ্ঞতাকে প্রথম অগ্রাধিকার দিলে ৩৬ টেস্ট খেলা ইমরুলের আর ১০ টেস্ট খেলা সৌম্যই হবেন সেরা পছন্দ। তাতে হয় অভিষেকের অপেক্ষাটা বাড়বে সাদমানের।
Comments