এমন ব্যাটিংয়েও রান করা যায়!

১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর মুমিনুল হকের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়লেন। নিজে করলেন ৪৪। তবু ইমরুল কায়েসের ইনিংসকে ‘দৃষ্টিকটু’ তকমায় আপত্তি থাকতে পারে অনেকের। কিন্তু কেবল স্কোরকার্ড না দেখে খেলা দেখে থাকলে আপত্তির জায়গা থাকবে সামান্য। ইমরুল কিছুটা রান পেয়ে গেছেন বটে তবে তার ব্যাটিং দেখা দর্শকদের জন্য নিশ্চিতভাবেই ছিল পীড়াদায়ক।
Imrul Kayes
ইমরুল কায়েস। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর মুমিনুল হকের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়লেন। নিজে করলেন ৪৪। তবু ইমরুল কায়েসের ইনিংসকে ‘দৃষ্টিকটু’ তকমায় আপত্তি থাকতে পারে অনেকের। কিন্তু কেবল স্কোরকার্ড না দেখে খেলা দেখে থাকলে আপত্তির জায়গা থাকবে সামান্য। ইমরুল কিছুটা রান পেয়ে গেছেন বটে তবে তার ব্যাটিং দেখা দর্শকদের জন্য নিশ্চিতভাবেই ছিল পীড়াদায়ক।

টেস্টে সর্বশেষ ২০ ইনিংস থেকে ফিফটি নেই ইমরুলের ব্যাটে। বাদ পড়েন, পড়েন করেও টিকে যান তিনি। তামিম ইকবাল না থাকায় অভিজ্ঞতার ঝুলিতে টিকলেন এবারও। কিন্তু এদিন শুরু থেকেই ভীষণ নড়বড়ে দেখাল থাকে। ৩ ও ১৬ রানে জীবন পেলেন দু’বার। নড়বড়ে ভাব ফুটে উঠেছে তার পুরো ইনিংস জুড়েই। বলের লাইন মিস করছেন অহরহ, টাইমিং মেলাতে হিমশিম তো খাচ্ছেনই শরীরী ভাষাও বলে দিচ্ছিল আত্মবিশ্বাসের তলানীর খবর। 

হাঁসফাঁস করতে করতে কেমার রোচের বলে ৩ রানেই দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন রোস্টন চেজ। জীবন পেয়ে কোথায় একটু সতর্ক হবেন, আরেকটু মনসংযোগ বাড়াবেন তা না, সারাক্ষণই অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল তাকে। অপরপ্রাপ্তে একই বোলারদের তখন সাবলীলভাবে খেলে যাচ্ছিলেন মুমিনুল।

দুই পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আর কেমার রোচকে প্রথম ঘন্টা এমন খেলার পর স্পিনাররা বল করতে আসতেই চাপ সরাতে চেয়েছিলেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানকে স্লগ সুইপ করে ডিপ স্কয়ার লেগে তুলে দিয়েছিলেন সহজ ক্যাচ। গ্যাব্রিয়েল সেই ক্যাচ নিলেও আউট হননি ইমরুল। কারণ তার আগেই যে ওভারস্টেপে ‘নো’ বল করে বসে আছেন ওয়ারিক্যান।

দুবার জীবন পাওয়ার পর কিছুটা তাল পাচ্ছিলেন, বেরুচ্ছিলো রান। তবে থেকে যাচ্ছিল ঝুঁকি। লাঞ্চের ঠিক আগে সব কিছুর অবসান ঘটান তিনি। ওই ওয়ারিক্যানের বল ব্যাটে লাগিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে শেষ করেন ৮৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।

ইমরুলের আউটের পর পরই ২ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ওইসময় ৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন মুমিনুল।   

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago