বোথাম, সোবার্সদের ছাড়ানোও স্পর্শ করে না সাকিবকে

ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে বরাবরই নির্লিপ্ত তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড, মাইলফলক ছুঁয়েছেন। কিন্তু কোনবারই এসব নিয়ে বিপুল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর দিনে যেমন ছাড়িয়ে গেলেন ইয়ান বোথাম, গ্যারি সোবার্সদের মতো অলরাউন্ডারদের। সাকিবের কাছে এই অর্জনও বিশেষ কিছু নয়। দল জিতলে এসব বাড়তি অনুষঙ্গ। না জিতলে তো তা অনেকটা বোঝার মতই।
Shakib Al Hasan
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে বরাবরই নির্লিপ্ত তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড, মাইলফলক ছুঁয়েছেন। কিন্তু কোনবারই এসব নিয়ে বিপুল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর দিনে যেমন ছাড়িয়ে গেলেন ইয়ান বোথাম, গ্যারি সোবার্সদের মতো অলরাউন্ডারদের। সাকিবের কাছে এই অর্জনও বিশেষ কিছু নয়। দল জিতলে এসব বাড়তি অনুষঙ্গ। না জিতলে তো তা অনেকটা বোঝার মতই।

দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে ১৯৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের কিনারে ছিলেন সাকিব। ২০০তম উইকেট নিতেই হয়ে যায় রেকর্ড। সবচেয়ে কম ম্যাচ (৫৪) খেলে টেস্টে ৩ হাজার আর ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড করে ফেলেন তিনি। ছাড়িয়ে  ইয়ান বোথামকে।

কোন এক রেকর্ডে ক্রিকেট ইতিহাসের কিংবদন্তিদের ছাড়িয়ে যাওয়া,  এইসব অর্জন কি আসলেই তাকে ছুঁয়ে যায় না?  সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তার এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণ থেমে বললেন, ‘নাহ, আসলে... আমি জানি না, হয়তো লাগে (বিশেষ কিছু), বাট আমি বুঝতে পারি না আসলে।’

এরপরই আসলেন মূল কথায়। মনে করিয়ে দিলেন ব্যক্তিগত অর্জন তখনই মহিমান্বিত হয় দল যখন জেতে, ‘যেটা হচ্ছে যে, যখন ম্যাচটা জিতে যাই, তখন খুশিটা একটু বেশি লাগে। কিন্তু ম্যাচ না জিতলে, দল যদি ভালো  ফল না করে তখন এই সাকসেস গুলো আসলে ওইভাবে প্রকাশ করা যায় না। এখন এসব নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে, তখন (হেরে গেলে) হারের ব্যাখ্যা নিয়েই প্রশ্ন আসতো।

‘অনুভূতিগুলো আসলে রিলেট করে, একটার সাথে আরেকটা। যখন দল ভালো করার সাথে পারসনাল অ্যাচিভমেন্ট আসে, তখন ভালো লাগে। কিন্তু উল্টোটা হলে তখন খুব একটা মিনিং থাকে না। এই কারণেই আমি বলি, যত বেশি টিম জিততে থাকবে, আমি যদি কন্ট্রিবিউট করতে পারি, তাহলে আসলে এই অ্যাচিভমেন্ট গুলো আল্টিমেটলি চলেই আসবে। ’

Comments