'যদি-কিন্তু'র কারণেই হঠাৎ ঢাকা টেস্ট দলে লিটন
অনুশীলনের প্রথম দিনই গতকাল বুধবার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয় খুব গুরুতর কিছু নয় এ চোট। কিন্তু তারপরও তার বিকল্প হিসেবে দলে আনা হয়েছে লিটন কুমার দাসকে। শেষ পর্যন্ত যদি খেলতে না পারেন কিংবা উইকেটকিপিং করতে না পারেন তাহলেই খেলবেন লিটন। এমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হক বলেছিলেন, আঙুল ভেঙে গেলেও খেলবেন মুশফিক। কারণ ক্রিকেটকে বরাবরই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকেন মুশফিক। কিন্তু ভাঙা আঙুলে উইকেটকিপিং করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই হয়তো শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে থাকবেন তিনি। এমন ইঙ্গিত দিলেন অধিনায়ক সাকিবও। তাই বিকল্প হিসেবে এদিন সকালেই বগুড়া থেকে ঢাকায় আনছে লিটনকে। জাতীয় লিগে খেলার জন্য বগুড়াতেই ছিলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এদিকে মুশফিকের আঙুলের ব্যথা এখনও কমেনি। তাই বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে টাইগারদের। লিটনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘বিকল্প হিসেবে রাখা হচ্ছে লিটনকে। কারণ যদি ব্যাথাটা বাড়ে, ফোলা থাকে ওইরকম কোন অসুবিধা হয়, তাহলে আমাদের বিকল্প পরিকল্পনাটা যেন ঠিক থাকে। এই কারণেই লিটনকে আনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি যতটুক জানি যে মুশফিক ভাই খেলবেন এবং দুইটাই করবেন।’
এদিকে ইমরুল কায়েস না থাকায় ওপেনিং সৌম্য সরকারের সঙ্গে দেখা যেতে পারে তরুণ সাদমান ইসলাম অনিককে। তবে লিটনের অন্তর্ভুক্তিতে বিকল্প ওপেনিংয়েও বেড়েছে। তবে লিটনের ওপেন করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব, ‘আমাদের ওপেনিং কারা করবে এটা আমরা মোটামুটি জানি। যদি মুশফিক ভাই না কিপিং করতে পারে, সে সম্ভাবনা খুবই কম। যদি সে না পারে তাহলে লিটন কিপিং করবে। আর কিপিং করে ওপেন করাটা তার জন্য খুবই কঠিন হবে।’
বুধবার সকালে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় হঠাৎ একটি লাফিয়ে আসা বলে লেগেছিল মুশফিকুর রহিমের হাতে। ব্যথায় কাতরে তখনই অনুশীলন বন্ধ করে দেন তিনি। পরে আর অনুশীলন করেননি। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এক্স-রে করে কোন চিড় পাওয়া যায়নি। তবে আঙুলে টুকটাক চোট নিয়ে বরাবরই খেলে থাকেন মুশফিক। তাই উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ব্যথা নিয়েই হয়তো খেলবেন তিনি।
Comments