দারুণ এই বোলিং করে যেখানে অনন্য মিরাজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দেওয়ার দিনে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সেরা নাম মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫৮ রানে ৭ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫৯ রানে ৫ উইকেট। এর নয়টিই একইদিনে। ম্যাচে ১১৭ রানে নিয়েছেন ১২ উইকেট, নিজেরই আগের রেকর্ড ছাপিয়ে এটি বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও।
Mehidy Hasan Miraz
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দেওয়ার দিনে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সেরা নাম মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫৮ রানে ৭ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫৯ রানে ৫ উইকেট। এর নয়টিই একইদিনে। ম্যাচে ১১৭ রানে নিয়েছেন ১২ উইকেট, নিজেরই আগের রেকর্ড ছাপিয়ে এটি বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও।

মিরাজ নিজেকে অনন্য জায়গায় নিয়েছেন আরও দুই জায়গায়। ইনিংসে এর আগে ৭ ও ৮ উইকেট করে নেওয়ার নজির আছে বাংলাদেশের স্পিনারদের। তবে ওই দুটি কীর্তি গড়া সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম দুজনেই বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের অফ স্পিনারদের কেউ এক ইনিংসে পাননি ৭ উইকেট। সেদিক থেকে মিরাজই হয়েছেন প্রথম।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাঠেও অফ স্পিনারদের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন মিরাজের। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার  অফ স্পিনার নাথান লায়ন চট্টগ্রামে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট। মিরাজ তাকে ছাপিয়ে এবার মিরপুরে নিলেন ৫৮ রানে ৭ উইকেট।

দারুণ এই বোলিংয়ের পর স্বাভাবিক কারণেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে জানালেন কেবল ভালো জায়গায় বল করেই এসেছে অমন সাফল্য, ‘ভাল জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করেছি। এইজন্য উইকেট পেয়েছি। যদি ভাল জায়গায় বল না করতাম তাহলে উইকেট পেতাম না, রানও হয়ে যেত।’

২০১৬ সালে নিজের অভিষেক টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে ম্যাচে ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। এবারও সেটিকে ছাপিয়ে আরও কম রান দিয়ে ১২ উইকেট পেলেও মিরাজের নিজের কাছে বেশি দামি আগেরটিই,  ‘দুইটা ভাল হয়েছে। কিন্তু প্রথমটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। অবশ্যই আগেরটা এগিয়ে থাকবে। কারণ এক্সপেরিয়েন্সের দিক থেকে এখন অনেক পরিপক্ব হয়েছি। এখন জেনেছি কোন উইকেটে বা কীভাবে কি করলে কেমন হবে। কাজেই ওইটাকে (অভিজ্ঞতা কম ছিল) এগিয়ে রাখব।’

Comments