যন্ত্রণা ফিরিয়ে দেওয়ার স্বস্তি সাকিবের
গত জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ক্যারিবিয়ানদের গতি আর পেসে দুই টেস্টেই তিন দিনে উড়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে একই দশা করেছে ছেড়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠের সুবিধা নিতে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারায়, নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারায় স্বস্তি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
জুলাই মাসে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ২১৯ রানে হারিয়েছিল জেসন হোল্ডাররা। পরেরটিতে হারিয়েছিল ১৬৬ রানে। এবার সাকিবরা চট্টগ্রামে উইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারিয়ে আসার পর ঢাকায় প্রতিপক্ষকে হারান ইনিংস ও ১৮৪ রানে।
অর্থাৎ মাস চারেকের মধ্যেই শোধবোধ। এভাবে সিরিজ জেতার পর অধিনায়কও জানালেন ক্ষত পুষিয়ে দিতে কতটা মরিয়ে ছিলেন তারা, ‘আমরা যারা ছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে, আমরা কেউই এধরনের পারফর্মেন্স প্রত্যাশা করিনি। এমন হারের পর মিটিং করেছি, তারপর শক্তভাবে ফিরেছি ওয়ানডে-টি-টুয়েন্টিতে। যেহেতু আমরা টেস্ট ফরম্যাটে ভালো করিনি, আমাদের ঘরে একটা সুযোগ ছিল প্রমাণ করার। ওই কারণেই আমরা চেয়েছিলাম কিছু একটা করি, যেন মানুষ অন্তত ভুলতে পারে বা বুঝতে পারে যে না, তাদের ঘরে সুবিধাটা তারা নিতে পেরেছে, দেশে আমাদের যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করতে পেরেছি।’
পরের ঘরে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে এলেও নিজের মাঠে যে বাংলাদেশ বাঘই এটা প্রমাণ করার তাগিদ ছিল সাকিবদের। টেস্টে হোম এবং অ্যাওয়ের সুবিধা অসুবিধার চিরায়ত সত্যের বাইরে বাংলাদেশ যে আগের সিরিজে ভয়াবহ খারাপ কিছু করেনি, তা দেখিয়ে দিতেও চেয়েছিলেন তারা, ‘এখন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের একটা সুবিধা থাকে। ওরা ওদের হোমের সুবিধা নিতে পেরেছে, আমরা আমাদের হোমের সুবিধাটা নিতে পেরেছি। ওভাবে হারার পর আমাদের অবশ্যই অনেক কিছু প্রমাণ করার ছিলো। অন্তত হোমে, সেটা আমরা করতে পেরেছি। সেটার জন্য আসলে আমি দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই যে এই জিনিসটায় বিশ্বাস করেছে, সিরিজ শুরুর আগে।’
দলের সবার কাছে পুরোটা নিংড়ে দেওয়ার ভীষণ চাওয়া ছিল অধিনায়কের, সিরিজ শুরুর আগে সবাইকে যে বার্তা দিয়েছিলেন তাতেই তেতে উঠার বারুদ পায় পুরো দল, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি অনেক ডিমান্ডিং ছিলাম এই সিরিজটাতে। সবার কাছেই খুব বেশ করে চাচ্ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সবাই যার যার সাধ্য মত চেষ্টা করেছে। কেউ হয়তো সফল হবে কেউ হবে না। সবাইর মনের ভেতর ওই বিশ্বাসটা ছিল, সবাই দলের জেতার জন্য অবদান রাখতে চায়। সবসময় রাখতে চায়, কিন্তু আলাদা রকমের একটা আগ্রহ ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিলো।’
Comments