উইকেট নয় নিজেদের মানসিকতাকেই দুষছে উইন্ডিজ

দুই টেস্টেই বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে হোয়াইটওয়াশ পর আলোচনায় এসেছিল টার্নিং উইকেট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেরাই এমন হারের পর উইকেটের দোহাই দিচ্ছে না। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট মনে করছেন মনস্তাত্ত্বিকভাবেই পিছিয়ে ছিলেন তারা।

বাংলাদেশের চার স্পিনারকে চট্টগ্রামে খেলতেই হিমশিম খেয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। আড়াইদিনে ম্যাচ হারলেও সে ম্যাচে লড়াইও ছিল কিছু। ঢাকায় ফিরে আরও নাজুক অবস্থা তাদের। এবার হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।

মিরপুরে যে উইকেটে বাংলাদেশ নিজেদের ইনিংস ছাড়িয়ে নিয়েছে পাঁচশো সেখানে নেমেই ধুমধাম উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। ম্যাচ হেরে অসহায় কণ্ঠে নিজেদের দোষকেই বড় করে দেখছেন ব্র্যাথওয়েট, ‘আমি উইকেটকে দোষারোপ করতে পারি না। আমাদের শট নির্বাচন কোনভাবেই ভাল ছিল না, বিশেষ করে গতকাল (শনিবার) শেষ বিকেলে।’

মিরপুরের উইকেট প্রথম দিন থেকেই হালকা টার্ন ছিল। তবু বাংলাদেশকে পাঁচশো রান করতে দেখেই নাকি ভড়কে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যাথওয়েট জানালেন এটাই মানসিকভাবে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাদের, ‘টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক খেলা। প্রথম দিনেই যেখানে বল ঘুরছে সেখানে বোর্ডে পাঁচশ’ রান অনেক। আমরা হয়তো কিছুটা আলোচনা করে নিয়েছিলাম। আমি সোজাসুজি আসা বলে বাইরে গিয়ে খেলেছি। বিশেষ করে গতকাল (শনিবার) যখন আমরা দ্রুত ৫ উইকেট হারালাম, তখন মানসিকভাবে হয়তো আমরা সেখানে (উইকেটে) ছিলাম না।’

‘ব্যাটসম্যান হিসেবে আমাদের আরও ভাল করতে হবে, এমনকি আমাকেও। আমরা ধারাবাহিকভাবে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারাতে পারি না। আমাদের ধরে খেলতে হবে এবং কাজটা করে আসতে হবে।’

তবে কন্ডিশনটাই যে বড় কারণ। অনেক চেষ্টা করেও তা কুলিয়ে উঠার সামর্থ্য তাদের ছিল না বলে ইঙ্গিত উইন্ডিজ অধিনায়কের , ‘কন্ডিশন অনেক বড় ব্যাপার। আমরা ঘরের মাটিতে ভাল খেলেছি। তারা পেসের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছে, আর আমরা স্পিনের বিপক্ষে করলাম।’

‘আমরা এখানে স্পিনের জন্য পরিকল্পনা  করেছিলাম। নেট সেশনে প্রচুর স্পিন খেলেছিলাম। মানসিকভাবে আমরা হয়তো সেখানে নিজেদের প্রয়োগ করতে পারিনি। নিজেদের শতভাগটাও হয়তো ছিল না। টেস্ট ক্রিকেট কখনোই সহজ নয়।’