খাশোগি হত্যা: ঘাতক দলের সঙ্গে কথোপকথন!
গত ২ অক্টোবর ইস্তান্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানিকে ১১টি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, খাশোগির হত্যার বিষয়টি সেই উপদেষ্টাই দেখভাল করেছিলেন।
যুবরাজ ও তার উপদেষ্টার সেসব বার্তা সিআইএ-র কাছে রয়েছে ‘অত্যন্ত গোপনীয়’ হিসেবে। তবে বার্তাগুলো বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লুএসজে) হাতে আসায় ধীরে ধীরে আরও খোলাসা হয়ে উঠছে সাংবাদিক হত্যার পেছনে যুবরাজের জড়িত থাকার বিষয়টি। এর ফলে সালমানের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।
সালমান এবং আল-কাহতানি মধ্যে কথোপকথন প্রকাশ না করে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, তারা ইলেকট্রনিক অনুবাদক এবং বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে তথ্যগুলো ভাষান্তর করেছে।
এই কথোপকথনকে সিআইএ ‘অত্যন্ত গোপনীয়’ হিসেবে ক্লাসিফাইড করে রেখেছে বলেও সংবাদমাধ্যমটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডব্লুএসজের ভাষায়, “বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্যে আমরা বলছি যে, যুবরাজ যে এই হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন তা আমরা সরাসরি বলতে পারছি না।… তবে আল-কাহতানির সঙ্গে তার কথা হয়েছিলো- যিনি ১৫ সদস্যের ‘ঘাতক’ দলের ও ইস্তান্বুলে দল নেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে চলেছেন।”
তবে সালমানের হুকুম ছাড়া যে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে এর সম্ভাবনা কম বলে মনে করে সংবাদমাধ্যমটি।
এছাড়াও, এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে ২০১৭ সালে যুবরাজের একটি মন্তব্য। সে বছরের আগস্টে তিনি তার সহযোগীদের বলেছিলেন, “খাশোগিকে যদি সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হও তাহলে তার জন্যে সৌদি আরবের বাইরে কোনো টোপ ফেলো। এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেও।”
সালমানের সেই কথার সূত্র ধরে অনেকে ধারণা করছেন যে সেই নির্দেশের পর হয়তো শুরু হয়েছে খাশোগির বিরুদ্ধে অভিযান।
এদিকে, ডব্লুএসজের এই প্রতিবেদন নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি সিআইএর মুখপাত্র।
Comments