রাজনীতিতে আসা নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব দিলেন মাশরাফি

কেন রাজনীতিতে এসেছেন এই নিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কদিন আগে ফেসবুকে লিখিত পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তবে এতেও সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এবারের জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফির আবার এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলাও আছে। খেলা, রাজনীতি, নির্বাচন কীভাবে সামলেন, সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই নিজ তাগিদ সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
Mashrafee Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কেন রাজনীতিতে এসেছেন এই নিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কদিন আগে ফেসবুকে লিখিত পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তবে এতেও সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এবারের জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফির আবার এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলাও আছে। খেলা, রাজনীতি, নির্বাচন কীভাবে সামলেন, সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই নিজ তাগিদ সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। দিয়েছেন অনেক প্রশ্নের জবাব। 

হুট করে প্রেস কনফারেন্স ডাকলেন…

মাশরাফি: খেলার আগে এই নিয়ে (রাজনীতি) আপনাদের সঙ্গে আর কোন প্রশ্ন না হোক, এই জন্য যেটা করার এখনই করে ফেলা আর কি।

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, এই সময়ে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। খেলার প্রতি ফোকাস রাখা কঠিন না?

মাশরাফি: আমার কাছে একদমই না (কঠিন)। আমার মাইন্ডসেট আপে (এখনো নির্বাচন) একদমই না। আমার পুরোপুরি অনুশীলনে মন আছে। অবশ্যই ১৪ তারিখের পর আমি ওইখানে মনোযোগ দেব।  ওই খানে যা করার ১৪ তারিখের পর... এর আগে পুরোপুরি মন খেলার রাখবো।

কেন নির্বাচন করছেন?

মাশরাফি: প্রথমত ধরেন, আমি যদি ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত ধরেন, আমি যেটা চিন্তা করেছি... আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, পরের চার বছরে কি হবে আমি জানি না। আর আমার একটা সুযোগ আসছে, যেটা আমি উপভোগ করি সবসময়, মানুষের সেবা করার। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন, আপনারা জানেন যে আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে, আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আমার মনে হয় এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ তাদের জন্য কাজ করার। স্রেফ এখান থেকেই মনে হয়েছে, হয়তো সাড়ে সাত-আট মাস পর তো আবার জাতীয় নির্বাচন হবে না।

ঘরের মাঠে এটাই তো আপনার শেষ ওয়ানডে? এটা ছাপিয়ে গেল না নির্বাচন?

মাশরাফি: প্রথমত আমি বলেছি, আমার মাইন্ড সেট আপ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্যন্ত মনে হচ্ছিল আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পারবো কিনা জানি না। তারপরও আমার ফিটনেস,  পারফর্মেন্স ঊনিশ পর্যন্ত চলছিল বলে আমি মোটামুটি এগিয়েছি। সেটাই বলছি আমার বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাইন্ড সেট আপ আছে। তারপর পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে, আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে।

আর যদি থাকি তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো, তার আগেও যে কোন কিছু হতে পারে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আপনাদের এখানেই অর্ধেক লোক বিশ্বাস করেছিল যে আমার ক্যারিয়ার শেষ। আল্লার রহমতে আরও সাত বছর চালিয়ে যেতে পেরেছি। ওইখানে আমার ফ্যামিলির সবাই ভেবেছিল আমি পারবো কিনা।

যদি দেশের মাঠে এটাই শেষ সিরিজ হয়, তা নিয়ে কি চিন্তা?

মাশরাফি: আমার কাছে এ নির্বাচনে আসার আগেও যেমন ছিল সেই সিরিজটাও সেরকম। আমার শেষ আর শুরুতে কিছু আসবে না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই। আমার চোখে ঠিক  আট দশটা সিরিজ যেভাবে খেলছি এটাও তাই।

ক্রিকেটের বাইরে পলিটিকাল মানুষজনের সঙ্গে উঠা বসার ব্যস্ততা কেমন?

মাশরাফি: না এখনও ঘুরার সুযোগ পাই নি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সিরিজটা খেলার পর যাবো। নড়াইলের মানুষজনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি যেতে পারি নি, গেলে আমার যে কাজ গুলো আছে সেগুলো আমি করবো।

অনেকের প্রশ্ন এখনি কেন নির্বাচন করবেন?

মাশরাফি: এটা বললাম আগে, আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচিন টেন্ডুলকার না আমি ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মত করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি খেলেছি। তবে আমি সবসময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যে সুযোগটা আমি বললাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে, বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়।

Mashrafee Mortaza

আপনার ফেসবুক পেজে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য এসেছে, যারা আপনার বিরোধী রাজনৈতিক দলের। তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কি বলবেন?

মাশরাফি: আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে আপনার নিজের ব্যক্তিত্ব থাকা উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সাপোর্ট করেন তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশে বলা উচিত। এমন অনেকেই আছে যারা সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। প্রত্যেকে যে যার দল করে তার সম্মানটা থাকা উচিত এবং তার মতে করে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতাই থাকা উচিত। যারা কমেন্ট করছে বা  করবে তা আমার নিয়ন্ত্রণে নাই। তবে তাদের প্রতি আমার সম্মান আছে।

তিন দিন পরে সিরিজ, এই যে সব প্রশ্নই হচ্ছে রাজনীতি নিয়ে, তবে বলা যায় পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?

মাশরাফি: এইজন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি যাতে পোস্ট ম্যাচে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেন। না হলে ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেছি আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার এখনি তা মোকাবেলা করা উচিত।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন না ব্যক্তিগতভাবে এলেন?

মাশরাফি: আমি ব্যক্তিগতভাবেই বলেছি, কালকে রাবীদ (মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম) ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত আমার মনে হয়। আজ হোক কাল হোক আমার মোকাবেলা করতেই হতো। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয় এইজন্যই আমার আসা।

বললেন বিশ্বকাপের পরও খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা রিভিউ করবেন। যদি চালিয়ে যান নির্বাচিত হন তাহলে খেলা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।

মাশরাফি: প্রথমত আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই থাকবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আট মাসের ব্যাপার। আট মাস পর্যন্ত যেভাবে খেলে আসছি ওইভাবে খেলার চেষ্টা করব। আমার পারসোনাল গোলও ছিল বিশ্বকাপ। পরে সেটা রিভিউ করব কিনা সেই সময়ই বলে দেব।

মাশরাফি ছিলেন পুরো দেশের, এখন তো লোকে বলতে পারে কেবল একটা দলের হয়ে গেলেন।

মাশরাফি: এটা খুবই স্বাভাবিক।  উদ্দেশ্য যেটা আমার পরিষ্কার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, যদি সুযোগ পাই কাজ করব।  আগেও বললাম আমি বিশ্ব ক্রিকেটে আমি এমন কোন সুপারস্টার না আট মাস পরে আমি যখন খেলা ছেড়ে দিব তখন জনে জনে মানুষ স্মরণ করবে।

আপনার মতো তরুণ এর আগেও রাজনীতিতে এসে ভালো ভালো কথা শুনিয়েছে। পরে হয়ে গেছে গতানুগতিক। গৎবাঁধা রাজনীতিতে গা ভাসাবেন না বলে কতটা আত্মবিশ্বাসী?

মাশরাফি: দেখেন আমি স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। যদি গতানুগতিক হয়ে থাকে গতানুগতিক কথা বলতেও চাই না। যেটা হয়ত কাল আপনি মেলাতে পারবেন না। সেই সুযোগটা যদি আমার আসে, এখনি চিন্তা করার সুযোগ নাই যে আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর যদি আপনাদের মনে হয় রিভিউ করতে আমার কাজ তখন করবেন। এখনি আসলে বলা কঠিন।

নড়াইলের মানুষের কেমন সমর্থন পাচ্ছেন? 

মাশরাফি: সাপোর্ট আলহামুদুলিল্লা ভাল আছে। আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে এখনি যেতে পারিনি তাই পুরোপুরি বলাটা কঠিন। খেলার পরে গেলে বুঝতে পারব।

নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে বিসিবি প্রধান বা আপনার সতীর্থদের কারো সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা

মাশরাফি: না কারো সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়নি। 

অনেকে বলে কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আপনি নীরব ছিলেন, এর জবাব কি হবে?

মাশরাফি: কোটা আন্দোলন নিয়ে যেটা হয়েছে। এত গভীর রাজনীতি আমি করিনি, জানিও না। যেটা পরিষ্কারভাবে বললাম আমার উদ্দেশ খুব সিম্পল, যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই। স্পর্শ পাই। ততটুকু করতে চাই। আমাকে যদি ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন সেটা আমি এখনো হয়তবা না, হইনি। কাজেই আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে আমার প্রতি অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে আমি যেটা বলেছি ভাল কাজ করতে চাই। সেটা হয়ত সামনে দেখা যাবে কতটুকু করতে পারি।

দেশের ক্রিকেটে নিয়ে মাশরাফির চিন্তা কি?

মাশরাফি: দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম, আলহামুদুল্লিহা ভালই চলছে। এখন যারা আছেন তারা স্পষ্ট করে এসব নিয়ে ভাল বলতে পারবেন। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সমর্থন দেওয়ার ততটুকু দেব।

সাধারণ দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের সাংসদরাই বোর্ড সভাপতি হন। আপনি বোর্ডে আসতে চান কিনা?

মাশরাফি: আমি তো আগেই বললাম সামনে কি হবে জানি না। নির্বাচন হলে নির্বাচনে জিততে হবে। কাজেই এই পর্যায় পার না হলে বলা যায় না কিছুই।

নড়াইল ফাউন্ডেশন দিয়ে তো এলাকার কাজ করছিলেন, রাজনীতিতেই কেন যোগ দিতেই হলো?

মাশরাফি: এবার আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করি আমার ফাউন্ডেশনে কি কি কাজ হয়েছে বলতে পারবেন?

হ্যাঁ রাস্তা তৈরি করেছেন...হাসতাপালের প্লান করছে...পানি নিয়ে...

মাশরাফি: একটাও কিন্তু ঠিক হয়নি। আমি রাস্তা কিন্তু করতে পারিনি। এই যে আপনাদের সব কিছু পরিষ্কার না কিন্তু। আমি ফাউন্ডেশন করে যেটা বুঝেছি...(বিসর পরিসরে কাজ করার সীমাবদ্ধতা আছে)। অনেক কিছুই কাজ করেছি। এটা সত্যি কথা। মানুষ জানে না, এমনকি নড়াইলের মানুষও জানে না। যেটা বললাম করার চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন যে আরেকটু বড় পরিসরে কাজ করা। সেটাই।

সাংসদ হলে আপনার কাজ এলাকার উন্নয়ন না আইন প্রণয়ন?

মাশরাফি: আসলে আইন প্রণয়ন করা তো জানি। আমি তো দেখেছি এই পর্যায় থেকেও অনেক হেল্প আসে। সরকার থেকেও অনেক সহযোগিতা আসে। যেগুলা এখান থেকে যাওয়ার পর ঠিকভাবে বণ্টনের ব্যাপার আছে। আমি চেষ্টা করব এই ব্যাপারটা ঠিকমতো করার।

দল না জিতলে আপনার ভবিষ্যৎ কি হবে?

মাশরাফি: হতে পারে, কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আপনিও জানেন না। আমার জীবনে কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি পরিস্কার মন নিয়ে যাচ্ছি কিনা। আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সাথে কী হবে সেটা জানি না। তাই এতকিছু ভাবার সুযোগ এখনো নাই

রাজনীতিতে আসা নিয়ে পরিবার থেকে কোন আপত্তি বা সতর্কতা পেয়েছেন কিনা?

মাশরাফি: খুব স্বাভাবিক, ধরেন পারিবারিকভাবে জানার পর এটা একটা নতুন জিনিস তাদের জন্য। তাদের জন্যও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, আমারও লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বা ওইভাবে রাজনীতি আমার বাসায় কেউ করেনি। এটাই সত্যি। তো কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে।

তরুণদের প্রতি কি বার্তা থাকবে?

মাশরাফি: আমি মাত্র বললাম আমার নিজেকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি। নিজেকে ঠিক জায়গায় নিতে পারি কি না, সেটা আমি দেখি। ২০০১ সালে যখন অভিষেক হয় আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি, তারপর এ অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছি। আর নির্বাচিত হলে আমার কাজটা ঠিকমতো করার চেষ্টা করব, তারপর দেখা যাক কী হয় ।

আপনি যার বিপক্ষে লড়বেন তার থেকে কেন আপনি ভালো বা এগিয়ে?

মাশরাফি: আমি তো সেটা একবারও বলিনি, আমি আপনার চেয়ে বেটার। তাকে আমি সম্মান করি। তাকে অসম্মান করে আমি কীভাবে বলব উনার চেয়ে আমি বেটার। সেটা অবশ্যই আমি বলব না। এ অবস্থায় আমি নিশ্চয় যাব না। অবশ্যই আমি চাই আমি আমার মতো করে বলব। আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হবে সেই সুযোগ নিশ্চয় নাই। দেখুন, আমি একজন স্পোর্টসম্যান। ওখানেও কিছুটা এই মানসিকতা কিছুটা থাকতে হবে। ওখানে গিয়ে আমি তাজে বলতে পারব না, ওর চেয়ে আমি ভালো।  আমাকে আপনারা ভোট দেন, সেই সুযোগ আমার নাই।

আপনাকে মানুষ ভোট কেন দেবে?

মাশরাফি: ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোট একটা, আপনার ভোটও একটা। যিনি ভো্ট দেবে উনার কাছে যদি মনে হয় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাহলে আমাকে ভোট দেবে। আমার যতটুকু করণীয় আছে, সেটা আমি করব। বাদ বাকি উনার ব্যাপার উনি আমাকে পার্সোনালি দিবে কি না দিবে না। সেটার নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে নাই। আমি আমার মেসেজইটা যতটুকু দিতে পারি, ভোট তো দিবে ব্যক্তি সেই মানুষটা। আর এই মুহূর্তে তো প্রচারণা চালানো নিষেধ।

 

Comments