বাদ পড়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে যে বার্তা দিতে চান অধিনায়ক

ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে এখন তুমুল লড়াই। চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল খেলবেন নিশ্চিত। বাকি আরেক ওপেনিং পজিশনের জন্য লড়াই তিনজনের। লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার। তিনজনই আছেন ছন্দে। ওয়ানডাউনে আবার সাকিব আল হাসান খেললে এদের দুজনের জায়গা করা নিয়েই তৈরি হবে সংকট। কাকে রেখে কাকে খেলানো যায়, তা ঠিক করতে তাই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ছন্দে থাকা অন্তত একজনকে একাদশের বাইরে রাখতে হতে পারে। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এই পরিস্থিতিতে মনে করেন কেউ বাদ গেলেও তার কাছে ভুল বার্তা যাবে না।
Mashrafee Mortaza

ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে এখন তুমুল লড়াই। চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল খেলবেন নিশ্চিত। বাকি আরেক ওপেনিং পজিশনের জন্য লড়াই তিনজনের। লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার। তিনজনই আছেন ছন্দে। ওয়ানডাউনে আবার সাকিব আল হাসান খেললে এদের দুজনের জায়গা করা নিয়েই তৈরি হবে সংকট।  কাকে রেখে কাকে খেলানো যায়, তা ঠিক করতে তাই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ছন্দে থাকা অন্তত একজনকে একাদশের বাইরে রাখতে হতে পারে। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এই পরিস্থিতিতে মনে করেন কেউ বাদ গেলেও তার কাছে ভুল বার্তা যাবে না।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিসহ রেকর্ড ৩৪৯ রান করেন ইমরুল। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মতো শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা লিটন জিম্বাবুয়ে সিরিজেও রান পেয়েছেন। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সৌম্য সরকার করে ফেলেছেন সেঞ্চুরি। সৌম্য সেঞ্চুরি করেছেন প্রস্তুতি ম্যাচেও।

এদের যে কাউকে বাদ দেওয়া তাই বেশ কঠিন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই কেউ বাদ পড়লে তার কাছে কি বার্তা যাবে ব্যাখ্যা করলেন অধিনায়ক, ‘খুব সাধারণ। প্রথমত যে বাদ পড়ছে তার সঙ্গে আলাদা করে বসার কিছু নেই। এখানে কম্বিনেশনের ব্যাপার থাকে। ওপেনিংয়ে ইমরুল শেষ তিনটা ম্যাচে দুইটা সেঞ্চুরি, একটা বড় হাফ সেঞ্চুরি আছে। এখন কথার কথা যদি ইমরুলকে বসিয়ে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে যদি লিটন খেলে, সেক্ষেত্রে ডানহাতি-বা হাতি কম্বিনেশনটা জরুরী কতটুকু এটা দেখতে হবে, এর মানে এই না যে ইমরুল বুঝবে না।’

‘আবার ইমরুল খেললে লিটনকেও বুঝতে হবে ও দুর্দান্ত ছন্দে আছে। তো এই ব্যাপারগুলো আছে। এর মানে এই না যে তাদেরকে খাটো করা বা তারা জরুরী না, এটা বোঝানো।  সেটা একবারে জন্যও না।’

ঘরের মাঠে খেলা হলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াড বেশ বড়। ১৬ জনের। এই বড় স্কোয়াড রাখার পেছনেও ছন্দে থাকা খেলোয়াড়দের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার মনোভাব ছিল বলে জানান মাশরাফি, ‘হয়তোবা আপনাদের কারো কাছে মনে হতে পারে কোন মানে নেই, কিন্তু আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ যে, যদি ১৪ জনের দল করতাম, ইনফর্ম প্লেয়ার দলের বাইরে রাখলে, ওদের উপর আরও মানসিক আঘাত হতো। তাই আমরা ওই জায়গাটা আগে নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, ১৬ জনের দায়িত্ব আমাদের সবার আছে। এবং বিশ্বকাপ পর্যন্ত এভাবে যতটুকু পারা যায় রাখা। ইনশাল্লাহ সবাই যাতে সুস্থ থাকে, বেঁচে থাকে, এবং ফর্ম ক্যারি করে এগুবে।’

অধিনায়ক ইঙ্গিত দিলেন ছন্দে থাকা টপ অর্ডারের একাধিকজনকে খেলাতে অদল-বদল হতে পারে ব্যাটিং পজিশনেও, ‘হতে পারে এমন অনেক কিছুই হতে পারে। কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। এক বা একাধিক (হাসি)। আলোচনা হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে কয়েকজন ওপেনার নিচে ব্যাটিং করেছে। ইমরুল ছয়ে ব্যাটিং করেছে। এক্সটা অর্ডিনারি একটা ইনিংস খেলেছে।  সৌম্য ফাইনালে সাত নম্বরে নেমে দারুন ব্যাটিং করেছে। হতে পারে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে আমরা এমন কিছু করতেও পারি’

 

Comments

The Daily Star  | English

Ex-president Badruddoza Chowdhury passes away

He breathed his last at 3:15am today while undergoing treatment at the Uttara Women’s Medical College

1h ago