ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে নির্বাচনী প্রহসন অপরিহার্য হয়ে যায়: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি, ঘটনা-দুর্ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে চলছে দ্য ডেইলি স্টারের বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮। আজ (১৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠানের পঞ্চম দিনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। উপস্থাপনায় ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন।
যে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জন, স্বাধীনতা লাভ এবং সেই স্বাধীনতারই ফসল হচ্ছে আমাদের সংবিধান। সেই সংবিধানে আমাদের যে প্রতিজ্ঞা ছিলো- গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র হবে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। আজকের এই দিনের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় আমরা এখন কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আমরা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করিনি। আমরা জাতীয় মুক্তির আন্দোলন করেছিলাম। সেটা ছিলো শোষণের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে। তা ছিলো জনগণকে অধিকার সম্পন্ন করে তার অধিকারহীনতার বন্দিশালা থেকে মুক্ত করার জন্যে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি।”
“দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে আমাদের ৭১ এর অর্জনগুলো প্রায় সর্বাংশে আমাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা হয়েছে।… সেই নীতিগুলোকে অস্বীকার করে আমাদের দেশকে ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সে কথা এখনো বলতে হচ্ছে। নব্বইয়ের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা হলো হয় আওয়ামী লীগ, নয় বিএনপি। এরা যখন বিরোধীদলে থাকে তখন অবাধ নির্বাচনের কথা বলে। আর যখন সরকারে থাকে তখন যেনোতেনো ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে পাগল হয়ে যায়।”
তার মতে, “আমাদের এখানে লুটপাটের অর্থনীতি চলছে। এবং লুটপাট করতে হলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাহায্য এবং অনুগ্রহ ছাড়া লুটপাটের বড় ভাগ কখনো পাওয়া যায় না। সুতরাং ফর্মূলাটি এমনভাবে দাঁড়িয়ে গেছে যে লুটপাটের জন্যে ক্ষমতা দরকার। আর লুটপাট করতে গেলে মানুষের বিরুদ্ধে যেতে হয়। এখন জনসমর্থনহীন অবস্থাতেও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে না পারলে আমি লুটপাট করতে পারবো না। লুটপাটের জন্যে ক্ষমতা, এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্যে নির্বাচনী প্রহসন অপরিহার্য হয়ে যায়।”
বিস্তারিত ভিডিওতে
Comments