ঢাকা-১২: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ‘নীরব’
ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির সাইফুল আলম নীরব। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মামলা মাথায় নিয়েও ভোটের মাঠে শেষপর্যন্ত টিকে গেছেন নীরব। হলফনামায় তার বিরুদ্ধে ২৬৭টি মামলা রয়েছে উল্লেখ থাকলেও, নীরবের মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার কেএম আলী আজম বলেছিলেন, যুবদলের এই নেতার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ঋণ খেলাপির তথ্য নেই। মনোনয়নপত্রে তার দেওয়া অন্যান্য সব তথ্য ঠিক আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এর আগে, ২০০৮ সালে ঢাকা-১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৪ সালেও ঢাকা-১২ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর ও রমনার একাংশ নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১৮৫ নম্বর আসন ঢাকা-১২। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৮ জন (পুরুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ৩৭০ জন এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৮ জন)।
নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র নয় দিন। এর মধ্যে, ঢাকা-১২ আসনে কামাল শিবির পুরোদমে প্রচারণা চালিয়ে গেলেও, এখন পর্যন্ত নীরবকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। এই এলাকার রাস্তাঘাট, উড়াল সড়ক, অলি-গলি সব জায়গাতেই আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ছবি সম্বলিত নৌকার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মোড়ে মোড়ে স্থাপিত নির্বাচনী প্রচারণার অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো থেকেও টানা বেজে যাচ্ছে ভোট প্রার্থনার মাইকিং।
মগবাজার, নাখালপাড়া, মধুবাগ, সাতরাস্তা, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে কোথাও নীরবের পক্ষে ধানের শীষের একটিও পোস্টার চোখে পড়েনি। গণসংযোগেও তাকে কেউ এখন পর্যন্ত নামতে দেখেননি। স্থানীয়রা বলছেন, ‘বিএনপির নীরব বোধহয় এখনও নীরবেই আছেন।’
এই আসনে নীরব ছাড়াও কামালের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি, জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের শওকত আলী হাওলাদার এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান।
কোদাল প্রতীকের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি দুই-একবার গণসংযোগে নেমেই সরকার দলীয় লোকজনের বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ এনেছেন। আসনটি ঘুরে আওয়ামী শিবিরের তুমুল প্রচারণার বিপরীতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মাইকিং, গণসংযোগের কোনো চিহ্ন মাত্রও দেখা যায়নি। স্থানীয়রাও জানান, ‘নৌকা’ আর ‘কোদাল’ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার ও প্রচারণা নজরে আসেনি তাদের।
Comments