মেসিকে ছাড়া বার্সেলোনাও রিয়ালের মতো ভুগবে!
রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরাই ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু নয় বছরের মায়া কাটিয়ে চলতি মৌসুমের শুরুতে রিয়াল ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছেন এ পর্তুগিজ। আর তাকে ছাড়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা শুরু থেকেই ধুঁকছে। ঠিক তেমনি বার্সেলোনার প্রাণ লিওনেল মেসি। তাকে ছাড়া কাতালান ক্লাবটিকেও সংগ্রাম করতে হতে পারে বলে মনে করেন বার্সার সাবেক অধিনায়ক জাভি হার্নান্দেজ।
স্প্যানিশ শীর্ষ দৈনিক মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাভি বলেন, ‘আপনারা একটা জিনিস দেখে থাকবেন, মেসি কিন্তু শুধু গোলস্কোরার নয়, সে একজন প্লে মেকার। সে শেষ পাসটি দেয় এবং দলের খেলাটা সে তৈরি করে দেয়। যখন সে ইনজুরিতে পড়ে একাদশে থাকে না তখন কিন্তু দৃশ্যটা একরকম থাকে না। সে লাইন ভাঙে, সে ডিফেন্সকে গুঁড়িয়ে দেয়। সে ড্রিবল করে আক্রমণভাগের ট্রামকার্ড হিসেবেই কাজ করে। মেসি পরবর্তী সময়ে আপনার এটা ভালো বুঝতে পারবেন।’
কিছুদিন আগে মেসি কবজির ইনজুরিতে পরে প্রায় মাস খানেক মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। তবে সেখানে তার অভাবটা খুব টের পেতে দেননি সতীর্থরা। এমনকি তাকে ছাড়া এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে উড়িয়েই দেয় দলটি। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ঠিক এমনই মেসি পরবর্তীকালীন সময়ে তরুণদের এগিয়ে আসার কথা বললেন জাভি, ‘(মেসি দলে না থাকলে) তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে (ফিলিপ) কৌতিনহো, (উসমান) দেম্বেলে, সের্জি রোবার্তো, স্যামুয়েল (উমতিতি), (মার্ক-আন্দ্র) টের স্টেগানদের মতো খেলোয়াড়দের আগাতে হবে।’
মেসিসহ প্রতি ৩৩ মিনিটে একটি গোল দিতে পারে বার্সেলোনা। আর তাকে ছাড়া একটি গোল পেতে সময় লাগে ৩৭ মিনিট। দলে নিয়মিত হবার পর ২০০৮-০৯ সালে প্রথম ইনজুরিতে পড়েন মেসি। তাকে ছাড়া সেবার ৭৬ শতাংশ ম্যাচে জয় পায় বার্সা। যেখানে মেসিকে সহ ছিল ৭২ শতাংশ। ২০১৩-১৪ মৌসুমে মেসিকে ছাড়া ১৩টি ম্যাচ খেলে বার্সা। তার ১১টিতে জয় পায় দলটি। ২০১৫-১৬ মৌসুমেও ১৩টি ম্যাচ মিস করেন এ আর্জেন্টাইন। তাতে ১০টি ম্যাচে জয় পায় কাতালানরা।
Comments