নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনফ্রেল
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে ছাড়পত্র ও ভিসা না দেওয়ায় ব্যাংককভিত্তিক আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (এনফ্রেল) তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করেছে।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে ছাড়পত্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভিসা দিতে উল্লেখযোগ্য দেরি করার কারণে গত ২২ ডিসেম্বরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এনফ্রেল।
এর আগে, ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য গত ২৬ নভেম্বর যথাযথ কাগজ-পত্র দাখিলের মাধ্যমে আবেদন করে এনফ্রেলের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু, নির্বাচনের মাত্র ৯ দিন আগে গত ২১ ডিসেম্বর এনফ্রেলের ৩২টি আবেদনের প্রেক্ষিতে মাত্র ১৩ জন পর্যবেক্ষককে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলে বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে এনফ্রেল। সেখানে বলা হয়, এনফ্রেলের মিশন প্রত্যাহারের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কেউই বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুর্ভাগ্যবশত, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব ডোমেস্টিক ইলেকশন মনিটরস (জিএনডিইএম) এর অন্যান্য সদস্য সংস্থাগুলোকেও পক্ষপাত এবং মানবাধিকার সংস্থা ও স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাড়পত্র দেয়নি ইসি।
এনফ্রেল বলছে, নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের আস্থার মাত্রা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। পর্যবেক্ষকদের তথ্য জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা, তাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গণতান্ত্রিক চর্চা থেকে বিরত রাখার যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ, তাতে দেশটির প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা যেকোনো সামাজিক সংগঠনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।
Comments