নোয়াখালী সদর: উৎসব-আশঙ্কা পাশাপাশি

নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৪ আসন। এর আশে-পাশের এলাকা ঘুরে নির্বাচনের পরিবেশে উৎসব ও সংঘাতের শঙ্কা দুই দেখা গেছে।
Noakhali
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালী সদরে উৎসব ও আশঙ্কার পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। ছবি: শাহীন মোল্লা

নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৪ আসন। এর আশে-পাশের এলাকা ঘুরে নির্বাচনের পরিবেশে উৎসব ও সংঘাতের শঙ্কা দুই দেখা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসব মুখর পরিবেশের কথা বলা হলেও বিরোধী বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আশঙ্কার কথা।

শহরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি থাকায় আপাত দৃষ্টিতে পরিস্থিতি শান্ত মনে হচ্ছে। তবে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে দুই ধরনের অবস্থার কথা জানা যায়। রাজধানী ঢাকা থেকে অনেকেই এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্যে। তাদের কেউ কেউ প্রকাশ করেছেন তাদের সংশয়ের কথাও। বাধাহীনভাবে ভোট দেওয়া নিয়ে তাদের এই আশঙ্কা। কারো কারো মন্তব্য- এর আগে এমন খারাপ পরিস্থিতি আগে দেখা যায়নি।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ (২৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নয়। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হচ্ছে। সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আশা করেন, আগামীকাল (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে লম্বা লাইন হবে। বিনা বাধায়, উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ ভোট দিবে।

বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তার নেতা-কর্মীদের ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, ৩৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পোলিং এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেছেন শাহজাহানের কয়েকজন পোলিং এজেন্ট। দ্য ডেইলি স্টারকে জানান যে তারা বাসায় যেতে পারছেন না। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন।

শাহজাহান ও তার কর্মীরা জানান, তারা বেশ ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। তাদের অনেকের বাসার সামনে ককটেল ফাটানো হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English
DHL Daily Star Bangladesh Business Awards 2023

DHL, Daily Star honour five business luminaries for outstanding achievements

The theme of this year's event is "Bangladesh on the rebound".

8h ago