জুড়ীতে পুলিশি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় পুলিশের হেফাজতে জাহিদ মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার।

তবে পুলিশ বলছে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে জাহিদ হার্ট ফেল করে মারা গেছেন।

গতকাল (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ তাকে আটক করার পর রাত সাড়ে ৯টায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাহিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।

নিহত জাহিদ জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাও এলাকার মৃত বশীর মিয়ার ছেলে। ফুলতলা বাজারের মাছবাজারের পাশে তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, “জাহিদ তার স্ত্রী মল্লিকা ও শাশুড়ির সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধ ছিলো। সে ঘটনায় এর আগে একবার স্ত্রী মল্লিকা বেগমের মামলায় তিনি কারাবরণ করেন।”

“শনিবার রাতে (৫ জানুয়ারি) তার ভাই সুস্থভাবে ফুলতলা বাজারে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ জুড়ী থানার এসআই ফরহাদ ফোর্স নিয়ে এসে তাকে আটক করে বাসায় নিয়ে যান৷ সেখানে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবস্থান করছিলো। আধাঘণ্টা পর সুস্থ ভাইকে আধমরা অবস্থায় বের করে পুলিশ৷ পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এর একটা রহস্য আছে। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে,” যোগ করেন জাহাঙ্গীর।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বলেন, “জাহিদকে সন্ধ্যায় পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক করে। পরে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ছয় পিস ইয়াবা, চার বোতল ফেনসিডিল এবং দুই বোতল মদ উদ্ধার করে। এ সময় সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

তিনি আরও জানান, “জাহিদের পারিবারিক পূর্ব-বিরোধ বা মামলা সংক্রান্ত কোন কিছু আমাদের জানা ছিলো না। তল্লাশির জন্য তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে সে হার্ট ফেল করে মারা যেতে পারে। আমরা সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অন্য কিছু ঘটে থাকলে তা পরে জানা যাবে।”

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago