আনকোরা নেট বোলার থেকে আসর মাত আলিসের
প্রথম বিভাগে খেলতেন। ঢাকা ডায়নামাইটস আলিস আল ইসলামকে দলে রেখেছিল নেট বোলার হিসেবে। সেখানেই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নজর কাড়েন তিনি। এই অফ স্পিনারকে এতটাই মনে ধরে যায় যে একদম ম্যাচেই নামিয়ে দেন সুজন। প্রথমবার নেমে সেখানে বাজিমাত করে তিনি এখন বনে গেছেন বিপিএলের নতুন নায়ক।
৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এরমধ্যে শেষ তিন উইকেট নিয়ে করেছেন হ্যাটট্রিক। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে স্নায়ু ধরে রেখে দলকে জিতিয়েছেন ২ রানে। জীবনের প্রথমবার এই পর্যায়ে কোন ম্যাচে নেমেই নায়ক বনে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বিপুল আলোয় যেন কিছুটা অপ্রস্তুত আলিস।
কোন বলে কি কারিকুরি করলেন তারচেয়ে তাকে জানাতে হয়েছে নিজের গল্প, ‘গতকাল সন্ধ্যায় জানতে পারি খেলব। স্যার (খালেদ মাহমুদ) আমাকে ডেকে বলেন শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে। আমি প্রস্তুতই ছিলাম। এতো বড় স্টেডিয়ামে, এতো বড় টুর্নামেন্টে প্রথম খেলা নার্ভাসেরই বিষয়। আমি প্রথমে নার্ভাসই ছিলাম, তবে তারপরও ভালো হয়েছে।
‘আমি ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার ছিলাম। আগে ঢাকা ফাস্ট ডিভিশনে খেলেছি। নেট বোলিং করার সময় সুজন (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন) স্যার আমাকে দেখেন। দেখে ওনার বিশ্বাস হয় যে আমি ভালো করতে পারব, তারপর আমাকে দলে নেয়। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট, প্লেয়াররা আমাকে সাপোর্ট করে। তারপর আমি সেরা একাদশে।’
সাভারের বালিয়াপুরের ছেলে আলিস কাঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাবে শুরু করেন ক্যারিয়ার। এরপর কয়েকবছর খেলেছেন দ্বিতীয় বিভাগে, সেখান থেকে প্রথম বিভাগ হয়ে এখন দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়েও পা পড়েছে তার।
এতবড় মঞ্চে নেমে শুরুতে স্নায়ু চাপও ছিল বেশ। অষ্টম ওভারে তিন বলের মধ্যেই ছেড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনের দুই ক্যাচ। ১৯ আর ২১ রানে জীবন পাওয়া মিঠুনকে পরে ৪৯ রানে তিনিই আউট করে পুষিয়েছেন। জানালেন ওই দুই ক্যাচ মিসের পর সতীর্থদের সাহস পেয়েই তেতে মুষড়ে পড়েননি তিনি, ‘আসলে এটা আমার বিপিএলে প্রথম ম্যাচ। খোলাসা করে বলতে গেলে স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ক্যাচ দুটি ড্রপ করার পর টিমমেটটা অনেক সাপোর্ট করেছে আমাকে, কোচ সাপোর্ট করেছেন। সবাই আসলে অনেক সাহস দিয়েছেন। তাতে আমার মনে হয়েছে যে, ভালো জায়গায় বলটা করতে পারি তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছি।’
Comments