গ্রেডভেদে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ল ১৫ টাকা, ২০ টাকা...
মজুরি বৈষম্য দূর করতে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। পূর্ব ঘোষিত মজুরির কয়েকটি গ্রেডে আশানুরূপ মজুরি বৃদ্ধি না পাওয়ায় পোশাক শিল্পের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গ্রেডগুলোর মজুরি সমন্বয় করে নতুন মজুরি ঘোষণা করেছে সরকার।
এতে শ্রমিকদের মোট সাত গ্রেডের মধ্যে ছয়টি গ্রেডে বেতন বাড়ানো হয়েছে। সপ্তম গ্রেডে মজুরি না বাড়লেও ষষ্ঠ গ্রেডে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এই গ্রেডের শ্রমিকরা সর্বসাকুল্যে মজুরি পাবেন ৮,৪২০ টাকা। ২০১৮ সালে ঘোষিত কাঠামোতে এই গ্রেডের মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮,৪০৫ টাকা। সেই হিসাবে তাদের মজুরি বাড়ছে ১৫ টাকা।
অন্যদিকে পঞ্চম গ্রেডের শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৮৭৫ টাকা। এই গ্রেডে মজুরি বাড়ছে ২০ টাকা।
সবচেয়ে বেশি মজুরি বেড়েছে দ্বিতীয় গ্রেডে। এখন এই গ্রেডের শ্রমিকরা সর্বসাকুল্যে বেতন পান ১৪৬৩০ টাকা। নতুন কাঠামোতে তাদের মজুরি ৭৮৬ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের মজুরি কাঠামোর সঙ্গে তুলনায় নতুন কাঠামোতে প্রথম গ্রেডে ৭৬৫ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ২৫৫ টাকা। চতুর্থ গ্রেডে ১০২টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আজ রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মজুরি সমন্বয়ের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও এই সভায় উপস্থিতি ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকরা জানুয়ারি মাসের বেতন নতুন মজুরি কাঠামো অনুসারে পাবেন। নতুন মজুরি কাঠামো অনুসারে ডিসেম্বর মাসে যে পরিমাণ টাকা কম পেয়েছেন, সেটি জানুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হবে।’
সরকারের আশা নতুন বেতন কাঠামোতে এই মজুরি সমন্বয় করায় শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে কারখানায় ফিরে যাবে।
অন্যদিকে, আগামীকালের (১৪ জানুয়ারি) মধ্যে কাজে যোগ না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্যে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
আজ এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
Comments