সিলেটের উইকেট ঢাকার চেয়ে ভালো!
আগে ব্যাট করে খুলনা টাইটান্স করল মোটে ১২৮ রান। তাই করতে পারলো না রাজশাহী কিংস। ১০৩ রানেই গুটিয়ে গেল তারা। যা চলতি আসরে দলটির সর্বনিম্ন রান। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা। তারপরও সিলেটের উইকেটকে ঢাকার উইকেটের চেয়ে ভালো মনে হয়েছে রাজশাহীর ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীসের কাছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুতেই লো স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার জন্য ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুলেছেন নাফীস। অবশ্য ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সের কারণও বলেছেন তিনি। তার মতে এদিন দারুণ বোলিং করেছেন দুই দলের বোলাররাই। আর তাতেই চার ছক্কা থেকে বঞ্চিত হয় সিলেটের দর্শকরা।
‘উইকেট আমি মনে করি ঢাকার চেয়ে যথেষ্ট ভালো। পাওয়ার প্লেতে আমাদের বেশি উইকেট পড়ে গিয়েছিল, এ কারণেই আমরা পরে আর কাভার করতে পারিনি। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু বোলারদের সেই ভালো পারফরম্যান্সে ব্যাটসম্যানরা দুর্ভাগ্যক্রমে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।’ – সিলেটের উইকেট নিয়ে এমনটাই বললেন নাফীস।
প্রথম ম্যাচের এমন বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় ঢাকার চেয়ে উইকেট কোন দিক দিয়ে ভালো এ উইকেট? নাফীসের যুক্তি, ‘আমার কাছে মনে হয়, ঢাকার চেয়ে উইকেট এখানে বেশি ধারাবাহিক। উইকেট এখানেও স্লো, বল একটু ধরছে - কিন্তু আমার মনে হয় ঢাকার চেয়ে বল এখানে স্কিড করে একটু বেশি। আমরা যদি টি-টুয়েন্টি উইকেটের কথা বলি, হয়তো আদর্শ উইকেট না, কিন্তু তারপরও ভালো।’
‘আমরা কিন্তু পরপর দুইটা টেস্ট সিরিজ খেললাম। এবং যেইসব মাঠে খেলা হচ্ছে, এই প্রত্যেকটা মাঠে টেস্ট সিরিজে আমরা হোম কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে উইকেট তৈরি করেছিলাম। সেখান থেকে একদম হঠাৎ করে, ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিপিএলে উইকেটের চরিত্র বদলে ফেলা একটু কঠিন। আমাদেরকে খেলোয়াড়দেরকে একটু মানিয়ে নিতে হবে।’- যোগ করে আরও বলেন নাফীস।
তবে দিনশেষে দর্শকরা পরিপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তার কারণও জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অধিনায়ক, ‘ঢাকায় কিছু ম্যাচ হাইস্কোরিং হয়েছে। আমাদের উইকেটগুলো এখনো প্রবহমান শট খেলা যাচ্ছে না। একটু দেরিতে খেলতে হচ্ছে, বা বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে যত দিন যাবে আশা করি উইকেট ভালো হবে।’
Comments