বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান আউট করেও হতাশা সঙ্গী তাসকিনের
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন অনেক পরে। তাসকিন আহমেদের তখন চোখ মুখে গাঢ় বিষন্নতার ছাপ। এবিডি ভিলিয়ার্সের স্টাম্প উড়িয়েছেন, রাইলি রুশোকে ভুগিয়ে ফিরিয়েছেন। তবু আনন্দ করার সুযোগ কই। নিজে ভালো বোলিং করেছেন তবু ১৯৪ রানও যে ডিফেন্ড করতে পারেননি তারা।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবার নিজেদের শেষ ম্যাচ ছিল সিলেট সিক্সার্সের। আগের তিন ম্যাচের মাত্র একটা জেতায় ভীষণ চাপে ছিল দল। আগে ব্যাটিং পেয়ে সাব্বির রহমান আর নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ১৯৪ রান করে স্বস্তি পেয়েছিল তারা। কিন্তু ওই রানও আটকানো যায়নি। একের পর এক ক্যাচ মিসের মহড়ায় সঙ্গী হয়েছে পঞ্চম হার।
৪ ওভার বল করে ৪২ রান দিলেও তাসকিন নিয়েছেন ৪ উইকেট। এরমধ্যে দুটি ভিলিয়ার্স আর রুশো। নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন তাসকিন। কারণ তার বলে ১ ও ২০ রানে রুশোর দুটি ক্যাচ ফেলেছেন ফিল্ডাররা। সেই রুশোই পরে ৬১ রান করে রংপুরের জয়ের নায়ক।
এমন দিনে ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করে উড়তে থাকা তাসকিনকে ম্যাচ শেষে হতে হয়েছে বিষন্ন। ব্যক্তিগত সাফল্য তাই আড়াল পড়ে গেছে দলের হারে, ‘ম্যাচ হারলে একটু খারাপ লাগে। এই ম্যাচটা জেতার খুব ইচ্ছে ছিল। চেষ্টা করেছি। খুবই ভালো ব্যাটিং পিচ। ১৯৪ রান করে হারাটা মোটেও উচিত হয়নি। একটু দুঃখজনক। কিছু কিছু ভুল হয়েছে। কিছু ক্যাচ ড্রপ। কিছু বাজে ওভার...সবমিলিয়ে এটা দলীয় খেলা। ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স, আমি উইকেট পেয়েছি চারটি তাই বলে আমি খুশি না।’
‘ঠিক আছে, আমি ভালো ভালো চারটি উইকেট পেয়েছি, দিন শেষে এটা দলীয় খেলা। শেষ পর্যন্ত নিজেকে খুশি রাখতে পারেনি ম্যাচ হেরে যাওয়াতে।’
তাসকিনের মন খারাপ আরেক কারণেও। অনেক দিন পর রান পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। খেলেছেন ৫১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। দিনশেষে তা বাড়াচ্ছে কেবল আফসোস, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে খুবই খারাপ লেগেছে ম্যাচ হারার পর। ম্যাচটা জিতলে হয়তো ও ম্যাচ অব দ্যা হত। আমি আসলে খুবই কষ্ট পেয়েছি। ওর জন্য হলেও যেটা উচিত ছিল ম্যাচটা।’
Comments