পোল্ট্রি ফিডে ক্ষতিকর প্রোটিন
মানুষ ও পশু-পাখিদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে সরকার পোল্ট্রি ফিড হিসেবে ব্যবহৃত প্রোটিন ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’-এর আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।
‘এমবিএম’ নামে পরিচিত এই প্রোটিন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টির পাশাপাশি অ্যানথ্রাক্স ও ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
পাউডারের মতো দেখতে এই প্রোটিন গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণির হাড় থেকে তৈরি করা হয়। হাড়ের সঙ্গে লেগে থাকা মাংসও সেই প্রোটিনে ব্যাবহার করা হয়।
অধিকাংশ দেশেই পোল্ট্রি ফিড হিসেবে এই প্রোটিন নিষিদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১৯৯৪ সালে। প্রতিবেশী ভারতে এই প্রোটিন নিষিদ্ধ হয় ২০০১ সালে এবং থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালে।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসী উদ্দিন বলেন, “এমবিএম প্রোটিনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ এতে ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে- যা মানবদেহ বা প্রাণির জন্যে ক্ষতিকর।”
পোল্ট্রি দেশের মানুষের প্রোটিন সরবরাহের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে এটি নিরাপদ হওয়া প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশের মানুষদের প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রোটিন আসে পোল্ট্রি থেকে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে মন্ত্রণালয় এই প্রোটিনটি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখবে বলেও জানানো হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ শুল্ক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে যাতে প্রোটিনটির আমদানি, বিক্রি, মজুদ বা ব্যবহার বন্ধ করা যায়।
Comments