অখ্যাত সেই ইভান্সই করলেন এবারের প্রথম সেঞ্চুরি
১*, ০, ২, ০। শেষ চার ম্যাচে করেছেন লরি ইভান্স। অবশ্য আরও একটি ম্যাচ খেলেছেন রাজশাহী কিংসের এ ইংলিশ ওপেনার। তাতে করেছিলেন ১০ রান। বিকল্প ভালো কোন বিদেশি খেলোয়াড় থাকলে হয়তো এতোদিনে একাদশ থেকেই বাদ পরতেন। অথচ সেই ইভান্সই কি না করলেন চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এদিন দারুণ সেঞ্চুরি করে দলকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে গেছেন এ ওপেনার।
চলতি আসরে বেশ নামীদামী অনেক তারকাই খেলছেন বিপিএলে। স্টীভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা খেলে চলেও গেছেন। খেলেছেন ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, অ্যালেক্স হেলস, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ডের মতো খেলোয়াড়রা। খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও। অথচ প্রথম সেঞ্চুরিটা এলো মাঝারী সারির অখ্যাত ইভান্সের ব্যাট থেকেই। বিপিএলের ইতিহাসে এটা ১৩তম সেঞ্চুরি। বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ৩১ বছর ১১০ দিন বয়সে করলেন এ সেঞ্চুরি। তার বেশি বয়সে কেবল ক্রিস গেইলই করতে পেরেছেন।
এদিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে রাজশাহীর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমেছিলেন ইভান্স। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান নাফীস। সপ্তম ওভারের মাথায় শেষ তিন উইকেট। তখন দলের রান মাত্র ২৮। তখনই নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে দলের হালতো ধরেনই, দলকে এনে দেন লড়াকু সংগ্রহ।
শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ইভান্স। আর এ রান করতে বল মোকাবেলা করেছেন মাত্র ৬২টি। আর নিজের ইনিংসটি ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা দিয়ে সাজিয়েছেন এ ইংলিশ তারকা। অথচ প্রথম ৩৬ বলে করেছিলেন মাত্র ৩৫ রান। ৬১ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করা এ ব্যাটসম্যান পরের ২৬ বলে করেছেন ৬৯ রান। সবচেয়ে বড় কথা চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৪৮ রানের জুটি গড়েছেন ডেসকাটের সঙ্গে। যা চলতি আসরে সর্বোচ্চ জুটিও বটে। আর ইভান্সের এ ইনিংসে ভর করে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহই পেয়েছে রাজশাহী।
এবারের আসরে দেশি খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রেখেই দল গড়েছিল রাজশাহী। বিদেশি তেমন কোন তারকাকেই কেনেনি তারা। মাঝারি মানের বিদেশি খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রেখেছিল তারা। কিন্তু আশানুরূপ ভাবে খেলতে পারেননি তারা। পারেনি দেশি খেলোয়াড়রাও। ফলে শুরু থেকেই ধুঁকতে হয়েছে তাদের। আসরে তিনটি জয় পেলেও তা এসেছে বোলারদের হাত ধরে।
Comments