গুরু সালাউদ্দিন-শিষ্য সাকিবের ‘ফান’ নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝি’
ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটিংয়ের সময় স্ট্রাটেজিক টাইম আউটে কি হয়েছিল সাকিব আল হাসান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মধ্যে? মাঠে ঢুকে কোচ সালাউদ্দিনের আম্পায়ারের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা ও সাকিবকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য তৈরি করেছিল প্রশ্নের। তবে ঘটনার সময় কাছেই থাকা কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বললেন পুরো ব্যাপারটাই ছিল নিছক মজা। নিজের ছেলেবেলার কোচের সঙ্গে রসিকতায় মগ্ন ছিলেন সাকিব।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তখন ব্যাট করছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। মেহেদী হাসানের বলে অষ্টম ওভারে আম্পায়ারের একটা ভুল করে দেওয়া ওয়াইড নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলটা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে করেছিলেন মেহেদী হাসান। ব্যাটসম্যান দরবিশ রসুলি সেই বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটে লাগান। বল এক বাউন্সে জমা নেয় উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের গ্লাভসে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার রেনমোর মার্টিনেজ দুহাত তোলে জানান এটি নাকি ওয়াইড।
কুমিল্লা তখনই প্রতিবাদ করে। কিন্তু আম্পায়ার জানান বোলার মেহেদী ফলো থ্রোতে আম্পায়ারের সামনে দাঁড়ানোয় তিনি বলটা ঠিকমতো দেখতে পাননি।
এর খানিক পর স্ট্রাটেজিক টাইমআউটের সময় কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মাঠে ঢুকে আম্পায়ারের কাছে এমন ওয়াইড দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিছু একটা বলতে এলে সালাউদ্দিন তাকে হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে বাইরে চলে যান।
এই ঘটনার পরই তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কি হয়েছিল আসলে সাকিব-সালাউদ্দিনের মধ্যে? ম্যাচ শেষে কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস জানালেন পুরো ব্যাপারটা ছিল ভীষণ হালকা। গুরু সালাউদ্দিন আর শিষ্য সাকিব ছিলেন ‘ফানি’ মুডে। একে অন্যের সঙ্গে নাকি মজা করেছেন তারা। টিভি পর্দায় শব্দ ছাড়া কেবল ফুটেজ যাওয়ায় তৈরি হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি, ‘ঘটনাটা আসলে খুব ফানি একটা জিনিস। আপনারা সবাই জানেন যে সালাউদ্দিন স্যার হচ্ছেন সাকিবের একেবারে ছোটবেলাকার কোচ। কোচ হিসেবে ওর সঙ্গে কি ফান করেছে, সিরিয়ার কিছু না। সাকিবও হাসছিল, সাকিবও ইয়ার্কি মারছিল।’
‘সাকিব অন্য কোন ইস্যু নিয়ে হয়ত আম্পায়ারকে বলছি। সালাউদ্দিন স্যারকে নিয়ে নয়। সাকিবও সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে ফাজলামো করছি। আমি পাশেই ছিলাম। ’
তাদের ঘটনা না হয় ছিল ‘ফান’। তবে বল ব্যাটে লাগার পরও আম্পায়ার ওয়াইড দেওয়া নিয়ে মাঠে প্রতিবাদ করলেও ম্যাচ জিতে যাওয়ায় কৌশলে তা এড়িয়ে যান ইমরুল, ‘আসলে আম্পায়ার তো ভুল করতেই পারে। একটা বল ব্যাটে লাগছিল তবু ওয়াইড হয়েছে। আম্পায়ার বলেছিল আমি বোলারের জন্য দেখতে পায়নি, সে ঢেকে রাখছে। এইজন্য হয়তবা ভুল হয়েছে। এটা বড় কিছু না।’
মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার দেওয়া ১৫৪ রান তাড়া করে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ঢাকা করতে পারে ১৪৬ রান। ম্যাচ হেরে যায় ৭ রানে।
Comments