ফর্ম ও কন্ডিশন বিবেচনায় বাদ পড়েছেন ইমরুল

নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য টেস্ট ও ওয়ানডে দুই স্কোয়াডই ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে কোথাও জায়গা মিলেনি ইমরুল কায়েসের। অথচ গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কি দুর্দান্ত ছন্দেই না ছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করেই দল থেকে বাদ পড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। দল ঘোষণা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
Imrul Kayes
ফাইল ছবি

নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য টেস্ট ও ওয়ানডে দুই স্কোয়াডই ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে কোথাও জায়গা মিলেনি ইমরুল কায়েসের। অথচ গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কি দুর্দান্ত ছন্দেই না ছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করেই দল থেকে বাদ পড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। দল ঘোষণা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

লম্বা বিরতির পর গত এশিয়া কাপের মাঝপথে হুট করেই ডেকে নেওয়া হয় ইমরুলকে। আবুধাবির প্রচণ্ড গরমে নেমেই খেলেন ৭২ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। এরপর দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তো ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দেই ছিলেন। ২টি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরি। হতে পারতো তিনটি সেঞ্চুরিই। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে নার্ভাস নাইন্টিজের।

কিন্তু এর পরের সিরিজেই দেখলেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। ঢাকায় দুটি ওয়ানডে খেলে করেন মাত্র ৪ রান। যার প্রেক্ষিতে শেষ ওয়ানডেতে জায়গাই হারান তিনি। বাজে সময়টা অবশ্য শুরু হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই। দুই টেস্টে করেন ৫১ রান। আর সে কারণেই নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাকে আর বিবেচনা করেনি বিসিবি। প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘বর্তমান ফর্ম ও কন্ডিশন চিন্তা করে ওকে (ইমরুল) বাদ দেয়া হয়েছে।’

তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে না থাকলেও বিশ্বকাপ বিবেচনায় রয়েছেন ইমরুল। নান্নুর ভাষায়, ‘আমাদের বিশ্বকাপের জন্য ৩২ জনের যেই পুল আছে তাদের মধ্যেই আছে। তিন ওয়ানডের জন্য যারা যাচ্ছে তাদেরকেও দেখতে হবে, যারা এখানে থাকবে তাদেরকেও তৈরি করা হবে। কাউকে আড়াল করা হচ্ছে না। সামনে আয়ারল্যান্ড সিরিজ আছে। সাথে সাথে বিশ্বকাপ, সুতরাং প্রতিটা খেলোয়াড়কেই দেখভাল করা হবে।’

তবে চলতি বিপিএলেও খুব একটা ছন্দে নেই ইমরুল। আট ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩২ রান। ক্যারিয়ারে ৩৭টি টেস্ট খেলেছেন ইমরুল। তাতে ৩টি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ১৭৭৬ রান। সর্বোচ্চ ১৫০ রান। সে ইনিংসে তামিমের সঙ্গে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। এছাড়া ৭৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪টি সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪৩৪ রান।

Comments