জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ ছিল না পৌনে এক ঘণ্টা

চলছিল রাজশাহী কিংস ও সিলেট সিক্সার্সের মধ্যেকার খেলা। ১৮১ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছিল রাজশাহী। মাঠ পথে হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। বন্ধ থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা (৪৩ মিনিট)। তাতে বন্ধ ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিন। বন্ধ ছিল ইলেকট্রনিক্স বিলবোর্ডও।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

চলছিল রাজশাহী কিংস ও সিলেট সিক্সার্সের মধ্যেকার খেলা। ১৮১ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছিল রাজশাহী। মাঠ পথে হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। বন্ধ থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা (৪৩ মিনিট)। তাতে বন্ধ ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিন। বন্ধ ছিল ইলেকট্রনিক্স বিলবোর্ডও।

বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটের দিকে চলে যায় বিদ্যুৎ। তা আসে ৫টা ৬ মিনিটে। ফলে ৪৩ মিনিট স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে স্টেডিয়ামের। জায়ান্ট স্ক্রিন বন্ধ থাকায় ম্যাচের স্কোর কার্ড জানতে পারেননি দর্শকরা। এমনকি পারেননি প্রেসবক্সে থাকা সাংবাদিকরাও। কারণ বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ ছিল টিভিও। ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য চালু রাখা সম্ভব হয়নি রাউটারও।

হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, ‘যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহতে সমস্যা ছিল। তবে জেনারেটরের ব্যবস্থায় ভিআইপি, দুই দলের ড্রেসিংরুম, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, মিডিয়া সেন্টার, প্রেস-বক্সসহ জরুরী দরকারের জায়গাগুলো সচল রেখেছি।'

এছাড়া নিয়মমাফিক ৫টার দিকে ফ্লাডলাইটের আলো জ্বলে ওঠে মাঠগুলোতে। বিদ্যুৎ না থাকায় এদিন সোয়া ৫টার মধ্যেও স্টেডিয়ামের পুরো ফ্লাডলাইট জ্বালানো সম্ভব হয়নি।

তবে এমন ঘটনা নতুন নয় বন্দর নগরীর এ স্টেডিয়ামে। ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হওয়ায় ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ৮ মিনিট। সেবার ৬টা ১৮ মিনিটে প্রথমে একটি ফ্লাডলাইট নিভে যায়। এরপর আস্তে আস্তে বাকি ফ্লাডলাইটগুলোও নিভে যায়। ৬টা ২৬ মিনিটে ধীরে ধীরে জ্বলে উঠে। ফলে আট মিনিট খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।

শুধু তাই নয়, একই বছর যুব বিশ্বকাপেও একই ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে দুইবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।  দ্বিতীয় দফায় প্রায় বিশ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।

একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালেও। সেবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকাল ৪টা ৪৩ মিনিটে প্রথম দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটার পর প্রায় বিশ মিনিট পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫টা ১৬ মিনিটে আবারও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে।

আর তাই ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন বিপিএল গভর্নিং কমিটি। কারণ ঘটনাটা যে ঘটল দিনের বেলায়। অন্যথায় বড় কেলেঙ্কারিই হয়ে যেতে পারতো। কারণ এদিন বিদ্যুৎ ছিল না যে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago