যেন ঘোষণা দিয়েই সেঞ্চুরি করলেন হেলস
ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশো। রংপুর রাইডার্সের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। চার জনই পছন্দ করেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে। তার জন্য ব্যাটিং উইকেট হলে যেন সোনায় সোহাগা। ঠিক তেমনটাই মিলল চট্টগ্রামে। আর তাই দেখে আগের দিনই হেলস বলে দিয়েছিলেন, এ মাঠে আমরা ভালো খেলবো। আর খেললেনও। করলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একটি সেঞ্চুরি করেছেন হেলস। আর তাও এসেছে এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৬ রানের ইনিংস। এ মাঠের সুখস্মৃতির আত্মবিশ্বাস তাতিয়ে দিয়েছে তাকে। ভালো খেলার ঘোষণাটা তাই দিয়েই দিয়েছিলেন। তাই বলে যে আবারো সেঞ্চুরিই তুলে নিবেন? অনেকটাই যেন ঘোষণা দিয়েই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া।
শুরুতে এদিনও দেখে শুনেই ব্যাট করেছেন হেলস। প্রথম ৭ বলে করেন মাত্র ৪ রান। রবি ফ্রাইলিঙ্কের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টানা দুটি চার মেরে শুরু করলেন। পরের ওভারে আবু জায়েদ রাহীকে মারলেন তিনটি চার। তবে তোপটা বেশি দাগিয়েছেন খালেদ আহমেদের বলে। তার করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ২টি করে চার ছক্কায় নেন ২২ রান। এরপর আর থামেননি।
২৩ বলে তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। সানজামুলের বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। এরপর ৪৭ বলে পূর্ণ করেন নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। পরের ফিফটি তুলতে বল খেলেছেন ২৪ বল। ব্যক্তিগত ৯৮ রানে সিকান্দার রাজার বলে লংঅনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন হেলস। ধরতে পারেননি ফিল্ডার। ততক্ষণে দৌড়ে দুই রান নিয়ে নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন এ ইংলিশ তারকা।
নিজের সেঞ্চুরিটি মোট ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজিয়েছেন হেলস। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলেই আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে আউট হয়েছেন অতিরিক্ত ফিল্ডার নিহাদুজ্জামানের হাতে।
‘এটা এমন একটা মাঠ যেটা আমাদের খেলার ধরণকে সমর্থন করে। ক্রিস (গেইল), এবি (ডি ভিলিয়ার্স) এবং রাইলি (রুশো) দুর্দান্ত ছন্দে আছে। আমার মনে এই উইকেটে আমরা আশা করি আরও ভালো খেলতে পারব। আমি এখানে আগেও খেলেছি। আমার খুবই ভালো স্মৃতি রয়েছে এ মাঠে। এটা আসলে ব্যাটিং উইকেট। তাই আমার লক্ষ্য থাকবে এখানে ভালো স্কোর করা। শেষ ম্যাচে ফিফটি পেয়েছি। আশা করি সামনে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারব।’- আগের দিন এমনটাই বলেছিলেন হেলস।
অথচ চলতি আসরের শুরুটা কি ভয়াবহই হয়েছিল হেলসের। প্রথম তিন ম্যাচের দুইটি তো খুলতে পারেননি রানের খাতা। অপর ম্যাচে মাত্র ১৫ রান। ফলে একাদশ থেকেই বাদ পড়ে যান। নামের কারণেই হয়তো আবার ফিরলেন একাদশে। আর সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেয়েই খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। এরপর ঢাকায় ফিরে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। সে ধারায় এবার তুলে নিলেন সেঞ্চুরি।
Comments