ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে দলকে জিতিয়ে উজ্জ্বল তামিম

বৃষ্টির কারণে এক ওভার করে কমে গিয়েছিল ম্যাচের আয়ু। তবে অসময়ের বৃষ্টি যেন কেড়ে নিয়েছিল ম্যাচের প্রাণও। গত ক’ম্যাচের রান বন্যায় চেনা হওয়া চট্টগ্রামের উইকেট হয়ে গেল কেমন যেন মন্থর। তাতে আগে ব্যাট করে অস্বস্তিতে পড়া চিটাগং ভাইকিংস করতে পারে অল্প পূঁজি। মামুলি লক্ষ্য পেয়ে দলকে নিরাপদে জিতিয়ে সেখানে নায়ক কুমিল্লার হয়ে নামা চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল।
Tamim Iqbal
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বৃষ্টির কারণে এক ওভার করে কমে গিয়েছিল ম্যাচের আয়ু। তবে অসময়ের বৃষ্টি যেন কেড়ে নিয়েছিল ম্যাচের প্রাণও। গত ক’ম্যাচের রান বন্যায় চেনা হওয়া চট্টগ্রামের উইকেট হয়ে গেল কেমন যেন মন্থর। তাতে আগে ব্যাট করে অস্বস্তিতে পড়া চিটাগং ভাইকিংস করতে পারে অল্প পূঁজি। মামুলি লক্ষ্য পেয়ে দলকে নিরাপদে জিতিয়ে সেখানে নায়ক কুমিল্লার হয়ে নামা চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দফায় দফায় নামে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। তাতে ম্যাচ পিছিয়েছে, খেলার পরিস্থিতি পাল্টেছে। ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ১১৬ রান জড়ো করে চিটাগং ভাইকিংস। ওই রান তাড়া করতে তাড়াহুড়ো করেনি কুমিল্লা  । ১৪ বল হাতে রেখে জিতেছে ৭ উইকেটে। দলকে জিতিয়ে ৫১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।

এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ফের শীর্ষে উঠল কুমিল্লা। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা নিজ মাঠে খেলতে আসা ভাইকিংসের হয়েছে উলটো দশা। এই নিয়ে চট্টগ্রামের মাঠে টানা তৃতীয় হার দেখল তারা।

১১৭ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লের মধ্যে এনামুল হক বিজয়কে হারায় কুমিল্লা। তবে উইকেটের মেজাজ মর্জি বুঝে দ্বিতীয় উইকেটে শক্ত জুটি গড়েন তামিম ও শামসুর রহমান। তাদের ৬৫ রানের জুটিতে ম্যাচ এসে যায় হাতের মুঠোর। থাকেনি কোন উত্তেজনা। জুটিতে তামিমের চেয়ে বেশির আগ্রাসী দেখা গেছে শামসুরকে। ২২ বলে ৩৬ রান করে আবু জায়েদের শিকার হন তিনি।

৪৯ বলে বলে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তামিম। আর আউট হননি। অনায়াসে জেতার কাজটা শেষ করে বেরিয়েছেন মাঠ থেকে।

এর আগে বড় রান করার আশায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু উইকেটের হালচাল পড়তে ব্যর্থ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন তাদের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। এসবের মধ্যে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ টিকে গিয়ে টানছিলেন দলকে। তিনি ফেরার পর শেষ দিকে ঝড় তুলে কিছুটা লড়াইয়ের পূঁজি এনে দেওয়ার পুরো কৃতিত্ব মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। ২৫ বলে ৪৩ করে পুরো ম্যাচেই নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন তিনি।

তবে তার দলের রানটা জুতসই না হওয়ায় শেষে আর উৎসব করা হয়নি তার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চিটাগং ভাইকিং: ১৯ ওভারে ১১৬/৮  (শাহজাদ ৩৩, সাদমান ০, ইয়াসির ০, মুশফিক ৬, জাদরান ১৩, ডেলপোর্ট ৬, সিকান্দার ৫, মোসাদ্দেক ৪৩*, নাঈম ৪ , জায়েদ ০* ; রনি ০/২১, সাইফুদ্দিন ২/২৩, ওয়াহাব ২/২৩, মেহেদী ১/১৭, আফ্রিদি ২/১০, পেরেরা ০/২২)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৬.৪ ওভারে ১১৭/৩ (তামিম ৫৪*, এনামুল ৮, শামসুর ৩৬, ইমরুল ৮, থিসারা ১০* ; জায়েদ ২/২৫ , নাঈম ০/২৬, খালেদ ১/২৫, মোসাদ্দেক ০/১৪, ডেলপোর্ট ০/১৯, রাজা ০/৮)

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী।

Comments