লবণ-সহনশীল ফলের গাছ নিয়ে গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ-সহনশীল ফলের গাছ নিয়ে গবেষণায় সাফল্যের দাবি করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষকরা জানান যে, তাদের গবেষণার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কৃষকরা আগামী তিন বছরের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় লবণ-সহনশীল বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ চাষ করতে পারবেন।
এসব ফলের মধ্যে রয়েছে- পেয়ারা, কাঁঠাল, সফেদা, আমড়া, বড়ই এবং বাতাবী লেবু।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিপ্রযুক্তি বিভাগের জার্মপ্লাজম কেন্দ্রের গবেষকরা এ বিষয়টি নিয়ে গত আট বছর থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকল্প পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, “নতুন জাতের ফলের গাছগুলো উপকূলীয় অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অংশেও চাষ করা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন যেসব জাতের ফলের গাছ রয়েছে সেগুলো লবণ-সহনশীল নয়। তাই সেগুলো লবণাক্ত এলাকায় চাষ করা যায় না। ফলে সেসব এলাকায় ফলের উৎপাদন কমে গেছে।
এছাড়াও, লবণাক্ততার কারণে সেসব ফলের স্বাদও ভিন্ন হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, মূলত দুটি বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রেখে নতুন জাতের ফলের গাছ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলো হলো: উৎপাদন ও স্বাদ বৃদ্ধি।
“নতুন উদ্ভাবিত এই জাতের ফল চাষ করে কৃষকরা উপকৃত হবেন। তবে এ জন্যে আরও দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, গবেষণাটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে,” যোগ করেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।
Comments