আফ্রিদির অসহায়ত্ব দেখে দুঃখ ভুলেছেন ফরহাদ রেজা
৬ বলে দরকার ৯ রান। হাতে ছিল ৪টি উইকেট। উইকেটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা রাইলি রুশোর সঙ্গে ফরহাদ রেজা। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে রুশো। সঙ্গী রেজার উপর আস্থা ছিল বলেই নিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের করা পরের চারটি ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না রেজা। চতুর্থ বলে বাইয়ের সুবাদে পড়িমরি করে প্রান্ত বদল করলেন বটে। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের সম্ভাবনা শেষ।
নায়ক হবার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে মুহূর্তেই খলনায়ক বনে যান রেজা। এমন ম্যাচ হারার পর মন আর কি করে ভালো থাকে এ অলরাউন্ডারের। ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। কিন্তু তারপরও কষ্টগুলো যেন চোরাগোপ্তা হামলা দিতেই থাকে। যদিও এর দায় মোচন করেছেন এক ম্যাচ পড়েই। সিলেটের বিপক্ষে শেষ দুই ওভারে যখন প্রয়োজন ২৪ রান সেখানে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৩ বল হাতে রেখেই জয় এনে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু তাতেও কি স্বস্তি মিলেছে? হয়তো মিলেছে আগের দিনই। কারণ সেই রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগের দিন জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। বিস্ময়কর এবার জয়ের নায়ক সেই রেজা। এমন দিনে তারচেয়ে বেশি খুশী আর কে হবেন। হয়েছেনও। সংবাদ সম্মেলনে তা প্রকাশও করেছেন। কিন্তু সেই দিনের স্মৃতিও কথাও জানিয়েছেন, ‘ওইদিন আমার খুব কষ্ট গেছে যে আমি ব্যাটে লাগাতে পারিনি।‘
তবে কষ্টটা খুব বেশি দিন বুকে পুষতে হয় তার। কদিন পড়েই দেখেছেন মোস্তাফিজের বলে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে পরাস্ত হতে। ৮টি বলে ব্যাটেই লাগাতে পারেননি আফ্রিদি। নিজেই জানালেন সে কথা, ‘চার পাঁচ দিন পর খুব ভালো লেগেছিল যে শহীদ আফ্রিদিও ৫টা বল লাগাতে পারেনি। তখন মনে হয়েছিল নাহ আমি ঠিক আছি।’
দুঃখ ভোলার পরই যেন আরও তেতে উঠেছেন রেজা। আগে খেলা ৭ ম্যাচে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। পরের ৪ ম্যাচে মিলল ১১ উইকেট। সবমিলিয়ে ১৭টি। চলতি আসরে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেটশিকারি। কিন্তু তারপরও কিছুটা অতৃপ্তি রয়ে গেছে তার। কারণ জন্মভূমি রাজশাহীর বিপক্ষে খেলাটা যে কঠিন তার জন্য, ‘রাজশাহীর বিপক্ষে খেলা আমার জন্য কষ্টের, ওটা আমার হোম টাউন। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা করি প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলতে। এখনো তৃপ্তি আসে নাই। এখনো আরও কিছু ম্যাচ আছে।’
Comments