‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’ এর ডাক বামফ্রন্টের
শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও বামফ্রন্টের মহাসমাবেশে যোগ দিলেন বামফ্রন্ট নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রোববার কলকাতার ব্রিগেডের এই মহাসমাবেশ থেকে “বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও” এই স্লোগান তুলে বাড়ি ফিরেছেন লক্ষ লক্ষ বাম কর্মী-সমর্থক।
সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যটির ২৩ জেলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ ব্রিগেড মাঠে জমায়েত হয়েছিলেন। বামফ্রন্ট সমাবেশে আসা প্রত্যেকের থাকার এবং খাবারের ব্যবস্থা করে।
ঠিক কত সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বামফ্রন্টের ডাকা এই সমাবেশে; সেটা এখনও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না নেতৃত্ব। তবে গত ১৯ জানুয়ারির সভার চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম ঘটেছিল বলে দাবি করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ওই সমাবেশে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপিবিরোধী ২৩ জন নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
বামফ্রন্ট সর্বশেষ তিন বছর আগে এই মাঠে জমায়েত করেছিল। সেবারও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিজেপিবিরোধী ডাক দিয়ে বলেছিলেন “বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও”।
এদিন দুপুর ১টায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক এই সভার শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেই চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছালেও মিনিট পনেরোর মধ্যেই কলকাতার পাম এভিনিউয়ে তার বাড়িতে ফিরে যান।
এদিনের সভায় সিপিআইএম ছাড়াও বামফ্রন্টের অন্য শরিক দলের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম-সহ শরিক দলের দেবব্রত বসু, ক্ষিতি গোস্বামী ও প্রায় ডজন খানেক বাম নেতৃত্ব। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সভায় আসতে পারেননি ছাত্র নেতা কানাইয়া কুমার।
বাম নেতারা এদিন রাজ্যের চেয়েও বেশি কেন্দ্রের বিজেপি শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেন। বাম নেতাদের বক্তব্যে এই রাজনৈতিকসভা কার্যত “বিজেপিবিরোধী” সমাবেশে রূপ পায়।
সভায় বিমান বসু বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে লোকসভায় বামদের শক্তি বাড়াতেই হবে। সব এলাকায় বাম নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ছোট ছোট সভা শুরু করতে হবে। বিজেপিকে হটাতে হবে আর তৃণমূলকেও রাজ্য থেকে তাড়াতে হবে।
কেন্দ্রীয় বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, আমরা বাংলা ও দেশের দুজায়গাতে বদল চাই। বাংলাতে বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপি। গত পাঁচ বছরে ভারতে রেকর্ড হারে বেকারত্ব বেড়েছে। চুরি করা চৌকিদারকে আমরা আর চাই না। নেতার জন্য নয় আমরা বদল চাইছি নীতির জন্য।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে গত ১৯ জানুয়ারি ভারতের বিজেপিবিরোধী শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা এই একই মাঠে সমবেত হয়েছিলেন।
Comments