তবু নিজের কাছে যুদ্ধটা জিতে ভালো লাগছে মুশফিকের

Mushfiqur Rahim
ম্যাচ হেরে রবি ফ্রাইলিঙ্কের সঙ্গে মাঠ ছাড়ছেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সাত ম্যাচের ছয়টা জিতে সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছিল চিটাগং ভাইকিংস। এরপরই উলটো রথে ছোটা শুরু। পরের পাঁচ ম্যাচের একটা জিতে কোনরকমে প্লে অফে আসার পরও আবার হেরে বিদায়। তবু গড়পড়তা দল নিয়েও সেরাদের সঙ্গে টক্কর দেওয়ায় তৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বেশ কিছু ম্যাচে স্নায়ুক্ষয়ী জয় তাকে দিচ্ছে নতুন জ্বালানি। সেরাদের সেরা হতে না পারলেও নিজের কাছে একটা যুদ্ধে জিতে স্বস্তি পাচ্ছেন মুশফিক।

সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৬ উইকেটে হেরে বিদায় নেয় মুশফিকের দল। সব মিলিয়ে এবার ১৩ ম্যাচ খেলে সাত জয় নিয়ে আসর শেষ করল তারা।

আগেরবার তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল চিটাগং। এবার দল মালিকরাও শুরুতে দল গড়া নিয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছিলেন। স্বাভাবিক কারণে সাদামাটা দল নিয়ে মাঠে নামা ভাইকিংসে তুলতে পারেনি প্রত্যাশার পারদ। তবে গোনায় না ধরা দলটিই খেলেছে শেষ চারে। এই এই উত্তরণের পথে সুপার ওভারের এক ম্যাচসহ কিছু স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জিতে আসাও রেখেছে ভূমিকা। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার দিন এসব মনে করে স্বস্তির কথা জানালেন মুশফিক, ‘আগের সব আসর থেকে কিছু কিছু কারণে আমি অনেক খুশি। কারণ কিছু কিছু জায়গা ছিল যেখান থেকে বের হয়ে আসা চ্যালেঞ্জ ছিল, নিজেকে বিশ্বাস করানোর ব্যাপার ছিল। সেদিক থেকে নিজের কাছে যে যুদ্ধটা ছিল তাতে একটু সন্তুষ্ট।’

কঠিন পরিস্থিতি জিতে আসার এই জ্বালানি পরের মৌসুমেও কাজে দেবে মুশফিকের, ‘অনেক কঠিন পরিস্থিতি ছিল, যেখান থেকে ম্যাচ এদিক-ওদিক হতে পারত। সেখানে ক্লিক করতে পারায় আমি খুশি। এটা আমাকে পরের মৌসুমের জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে।’

তবে সব মিলিয়ে তৃপ্তি পেলেও শেষটা আরও রাঙানো হতেই পারত ভাইকিংসের। ঢাকার সঙ্গে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়েও ভালো সংগ্রহ করতে না পারাকেই হারার আসল কারণ দেখছেন অধিনায়ক মুশফিক, ‘বাঁচা মরার ম্যাচ। একটা লড়াই হবে এটাই চেয়েছিলাম। উইকেটে আহামরি কিছু ছিল বোলারদের জন্য সেটাও না। যদি ১৬০ রানের মতো করতে পারতাম তাহলে ওদের চাপে ফেলতে পারতাম। সেটা হয়নি। আমাদের এক-দুইজন ব্যাটসম্যান সহজে উইকেট দিয়ে দিয়েছে। একটা রান আউটও হয়েছে। কেউ ক্যারি করতে পারেনি। এরকম ভালো একটা দলের বিপক্ষে খেললে এত ভুল করলে আসলে কঠিন হয় ফিরে আসা। ’

‘আজ হতাশাজনক তবে সব মিলিয়ে যদি বলেন দল হিসেবে এতদূর আসতে পারা গর্ব করার মতো।’

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago