তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মানিকগঞ্জে দুই পুলিশ প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক তরুণীকে (২২) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা দুই পুলিশ সদস্য হলেন, উপ-পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম। তাদেরকে প্রত্যাহার করার খবরটি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম। তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্ষণের ব্যাপারে গতকাল সকালে ভিকটিম এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, এসআই সেকেন্দার পাঁচ বছর আগে তার এক নারী আত্মীয়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত পেতে বুধবার বিকেলে ওই নারী আত্মীয়ের সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় গিয়েছিলেন তিনি। থানায় যাওয়ার পরপরই সেকেন্দার তাদের থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এএসআই মাজহারুল উপস্থিত হন। সেখানে তাকে ও তার আত্মীয়কে দুটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার কক্ষে ওই দুই পুলিশ সদস্য ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় অস্ত্রের মুখে তাকেও ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে ওই দুই কর্মকর্তা তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে এসআই সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে কেন পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
Comments