নিউজিল্যান্ডের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাওনা বিশ্বকাপে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি
গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের মাঠে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল। ৫ জুন বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের বাকি এখনো অনেক দিন। তবে কিউই ব্যাটসম্যান রস টেইলর মনে করছেন বাংলাদেশকে এখন থেকে হারিয়ে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস তাতিয়ে সেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে চান তারা।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে এমনিতেই বাংলাদেশের কাছে অপরাজেয় নিউজিল্যান্ড। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১২ ওয়ানডে খেলে সবকটিতেই নিজ মাঠে জিতেছে কিউইরা। এবারও প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াই করতে না দিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা।
তবে সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি ইভেন্টে সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। কার্ডিফে সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে অসাধারণ জয় পেয়েছিল মাশরাফি মর্তুজার দল
আগেভাগে স্বাগতিকরা সিরিজ জিতে যাওয়ায় এই সিরিজের কোন উত্তেজনা নেই। কিন্তু তাই বলে ম্যাচটাকে কেবল আনুষ্ঠানিকতার দেখতে রাজি নন টেইলর। প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও তারা একই দাপট দেখাতে চান আগামীর কথা ভেবে, ‘আমরা জানি কীভাবে দাপট দেখাতে হয়। গত দুই ম্যাচে সেটা হয়েছে। তবে খেলোয়াড়রা আরও কিছু দেখাতে মুখিয়ে আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা আমাদের হারিয়েছিল। অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। একইভাবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ওভালে কীভাবে আমরা ফিরে আসি সেটাও দেখার বিষয়। সেদিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা যেভাবে খেলছি সেটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে।’
ডানেডিনে তৃতীয় ওয়ানডের উইকেট রানে ভরা দেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রস টেইলরের উইকেট দেখে মনে হয়েছে এখানে বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই, ‘এটা গড়পড়তা ডানেডিনের উইকেট কিন্তু মৃত। কিছু ঘাস, বাউন্স আর মুভমেন্ট দরকার। আমার মনে হয় এটা ভালো উইকেট শুরুর দিকটা ছাড়া। ঐতিহ্যগত ভাবে এটা ভালো উইকেট, বাউন্ডারিও ছোট। উইকেট এমন থাকলে বড় রান করতে হবে।’
ডানেডিনের মাঠেও অনেক সুখস্মৃতি রস টেইলরের। ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠেই টেস্টে তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২১৭)। ওয়ানডেতে গত বছরের এক স্মৃতি তো বেশ তরতাজা। ইংল্যান্ডের করা ৩৩৫ রান তাড়ায় টেইলর ১৪৭ বলে ১৮১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন। আরেকবার ডানেডিনে নামার আগে মধুর স্মৃতি তাকে দিচ্ছে বাড়তি বিশ্বাস, ‘এখানে আমার অনেক সাফল্য। শেষবারের স্মৃতি অবশ্যই ভুলবার নয় । টেস্টেও রান পেয়েছি। এখানে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও করি। এই মাঠ আমার জন্য সুখস্মৃতির।’
Comments