চকবাজার ট্রাজেডিতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটাররাও

রাজধানীর পুরান চকবাজারের ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার শোক স্পর্শ করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও। নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন শোক। কেউ কেউ আহতদের পাশে থাকার আহবান জানিয়েও সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ছবি: স্টার

রাজধানীর পুরান চকবাজারের ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার শোক স্পর্শ করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও। নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ দলের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন শোক। কেউ কেউ আহতদের পাশে থাকার আহবান জানিয়েও সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুরান ঢাকার আগুনের খবর পেয়েই ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে প্রার্থনা জানিয়ে লেখেন, ‘চকবাজারে নিহত-আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা। আল্লাহ যেন তাদের স্বজনদের শোক সইবার শক্তি দেন।’

পেসার মোস্তাফিজুর রহমান লেখেন, ‘রাজধানী ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন ও চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা তাসকিন আহমেদকে আহতদের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে একই কথার লেখার পোস্ট করতে দেখা যায়। যাতে তারা লিখেছেন,  ‘এই মুহূর্তে যারা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বা এর আশপাশে অবস্থান করছেন তাঁরা দয়া করে ঢাকা মেডিকেলে চলে যান। চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের প্রচুর রক্ত লাগছে। চলুন রক্ত দিয়ে অর্জিত এই ভাষা দিবসে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাই।’

ওয়ানডে সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশের বিমানে আছেন মাশরাফি মর্তুজা, শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শুক্রবার দেশে ফেরার কথা সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেনের। 

বুধবার রাত অনুমানিক ১০টায় চকবাজারের চুরিহাট্টা নামক এলাকায় একটি ভবনে আগুন লাগে। এই আগুনের মাত্রা মধ্যরাতে বেড়ে যায় কয়েকগুন, ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি ভবনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে অন্তত ৭০টি লাশ উদ্ধার করা হয়, আহত আরও অন্তত ৪২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের দিন এই দুর্ঘটনার আঁচ লেগেছে পুরো দেশের মানুষের মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago