মানুষের বিশ্বাসের প্রতিদান আ. লীগকে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি/ইউএনবি

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিল তার প্রতিদান উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে এবং দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমরা দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। আমাদের এ বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হবে। উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।”

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর অন্ধকার যুগে পতিত হওয়া দেশ ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আলোর পথে যাত্রা শুরু করে।”

“কেউ এ যাত্রায় বাধা দিতে পারবে না, কেউ তা থামাতে পারবে না। আমরা দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে,” যোগ করেন তিনি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী ক্ষুধামুক্ত হবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য।”

আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এখন দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের মানুষের কাছে মর্যাদার আসন অর্জন করেছে।”

“বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা দেশ থেকে ক্ষুধা দূর করেছি। আমরা দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করছি এবং তা সম্পূর্ণভাবে দূর করা হবে,” বলেন তিনি।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছেন তাদের জনগণ কেন ভোট দেবে?”

মানুষ বিএনপি-জামায়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা দাবি করেন, মনোনয়ন বাণিজ্য ও নিলামের কারণে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াবহ পরাজয় হয়েছে। তিনি বলেন, “মনোনয়ন বাণিজ্য ও নিলামের পর তারা কীভাবে জয়লাভ করার স্বপ্ন দেখেছিল?”

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেওয়ায় দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ আর যুদ্ধাপরাধীদের ভোট দেবে না।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন আলোচনায় অংশ নেন।

এছাড়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান ও মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ভাষা শহীদ, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও চকবাজারের আগুনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Modi gives forces ‘operational freedom’

Vows ‘crushing blow to terrorism’ after meeting top security brass; Pak FM fears ‘imminent incursion’

25m ago